নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার কাঁচপুর পুরান বাজার মধ্যপাড়া এলাকায় একটি বাড়িতে গ্যাস সিলেন্ডারের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ হয়ে আগুনে শিশুসহ একই পরিবারের ৫ জন দগ্ধ হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) ভোরের দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। দগ্ধদের রাজধানীর জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে শিশুসহ তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
দগ্ধরা হলেন- মানব চৌধুরী (৪০), তার স্ত্রী বাচা চৌধুরী (৩৮), মেয়ে মুন্নি (১৪), তিন্নি (১২) ও মৌরি (৬)। দগ্ধদের গ্রামের বাড়ি সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার বলরামপুর গ্রামে। মানব চৌধুরী কাঁচপুর এলাকার ফ্যালকন নামে একটি টেক্সটাইল মিলে কাজ করেন।
জানা যায়, উপজেলার কাঁচপুর ইউনিয়নের কাঁচপুর বিসিক শিল্পনগরীর পুরান বাজার মধ্যপাড়া শেখ ফরিদের বাড়ির নিচতলায় ভাড়া থাকেন মানব। ভোরে তার বাসায় চুলা জালানোর সঙ্গে সঙ্গে বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়। এ সময় ওই বাসায় থাকা লোকজন চিৎকার করেন। এতে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
বাড়ির মালিক শেখ ফরিদ জানান, তিতাসের বৈধ গ্যাস সংযোগ বন্ধ থাকার কারণে ভাড়াটিয়ারা সিলিন্ডার গ্যাস ব্যবহার করেন। সিলিন্ডার লিকেজ হয়ে পুরো ঘরে গ্যাস জমেছিল। ভোরে রান্না করতে দিয়াশলাই জ্বালানোর সঙ্গে সঙ্গেই আগুন ধরে যায়। এতে পুরো পরিবার দগ্ধ হন। তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
শিমরাইল ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার জাহাঙ্গীর আলম জানান, দরজা-জানালা বন্ধ থাকায় সিলিন্ডারের মুখে লিকেজ হয়ে গ্যাস বেরিয়ে ঘরেই জমেছিল। গ্যাসগুলো বের হতে না পারায় আগুনের স্পর্শ পেয়ে বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়। এ সময় পুরো ঘরে আগুন ধরে যায়। পরিবারটি দগ্ধ হয়।
প্রতিবেশী সবিনয় চন্দ্র দাস জানান, ভোরে বিকট শব্দে তাদের ঘুম ভাঙে। ওই পরিবারের কান্নার শব্দ শুনে এগিয়ে গিয়ে আগুন নেভান। তাদের ঘরের খাটের একাংশ ও জামা কাপড়ে আগুন ধরেছে। পরে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান জানান, দগ্ধদের মধ্যে মানব চৌধুরীর ৭০ শতাংশ, বাচা চৌধুরীর ৪৫ শতাংশ, মৌরীর ৩৬ শতাংশ, মুন্নির ২৮ শতাংশ ও তিন্নির ২২ শতাংশ পুড়ে গেছে। তাদের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। শিশুসহ তিনজনের অবস্থা সংকটাপন্ন।