মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, আন্দোলন চলাকালে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হামলাকারীরা চিহ্নিত সন্ত্রাসী, তাদের  দ্রুত বিচারের আওতায় আনা হবে।

তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে যেভাবে পাক হানাদার বাহিনীদের সঙ্গে এদেশের দোসর রাজাকার, আলবদর, জামায়াত-শিবির তাণ্ডব চালিয়েছে, ঠিক তেমনি কোটা আন্দোলনে নামে তাণ্ডব চালানো হয়েছে। ১৯৭১ সালের সঙ্গে হুবহু মিল রয়েছে।

বৃহস্পতিবার ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান ও প্রজন্ম সমন্বয় পরিষদের উদ্যোগে বিএনপি-জামায়াতের ইন্ধনে মানুষ হত্যা, নৈরাজ্য, অগ্নিসংযোগ ও সরকারি সম্পদ ধ্বংসের প্রতিবাদে আয়োজিত মানববন্ধনে এসব কথা বলেন তিনি।

মানববন্ধনে নেতৃত্ব দেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান এমপি।

প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী বলেন, যারা দেশে তাণ্ডব চালিয়েছে তারা কখনো ছাত্র হতে পারে না। তারা ছিল বিএনপি-জামায়াত রাজাকারের দল। তাদের কার্যকলাপে আমাদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়েছে। 

তিনি বলেন, জামায়াত-বিএনপি, শিবির, ছাত্রদলসহ স্বাধীনতা বিরোধীরা এত শক্তি কোথা থেকে পেল। এটা আমাদের খুঁজে দেখতে হবে। যেখান থেকেই হোক, যত বড় শক্তিশালী হোক, আইনের মাধ্যমে তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।

তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতিকে স্বাধীন দেশ উপহার দিয়েছেন। আর তার সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে আজ উন্নয়নশীল দেশে রূপান্তর করেছেন । তিনি দেশি ও আন্তর্জাতিক সব ষড়যন্ত্র আর নানা প্রতিকূলতাকে মোকাবিলা করে উন্নত-সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখেছেন। মন্ত্রী সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে  সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করার আহ্বান জানান।

মানববন্ধনে অন্যান্যর মধ্যে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর জেনারেল (অব.) হেলাল মোর্শেদ খান (বীর বিক্রম), বাংলাদেশ সড়ক ও পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা ওসমান আলী, শ্রমিক লীগের কার্যকরী সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দিন মিয়া, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা এমদাদ হোসেন মতিন, সাংগঠনিক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা এবিএম সুলতান আহমেদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু সাঈদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা সফিকুর রহমান শহীদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফরিদুজ্জামান ও বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলামসহ মুক্তিযোদ্ধার সন্তান এবং প্রজন্ম সমন্বয় পরিষদের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

মানববন্ধন শেষে  হত্যা, সন্ত্রাস, নৈরাজ্য, অগ্নিসংযোগ ও সরকারি সম্পদ ধ্বংসের প্রতিবাদে একটি মিছিল জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে শুরু করে পল্টন মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।

বিডি-প্রতিদিন/বাজিত



Contact
reader@banginews.com

Bangi News app আপনাকে দিবে এক অভাবনীয় অভিজ্ঞতা যা আপনি কাগজের সংবাদপত্রে পাবেন না। আপনি শুধু খবর পড়বেন তাই নয়, আপনি পঞ্চ ইন্দ্রিয় দিয়ে উপভোগও করবেন। বিশ্বাস না হলে আজই ডাউনলোড করুন। এটি সম্পূর্ণ ফ্রি।

Follow @banginews