- ডিএসই হারিয়েছে ৫৪ পয়েন্ট ও সিএসই ১৭৩ পয়েন্ট
- বিএসইসির কোনো পদক্ষেপই কাজে আসছে না
- আরো ৮২৪.৭০ কোটি টাকা চলে গেছে বাজার থেকে

অব্যাহত সূচক পতনে নুয়ে পড়েছে দেশের পুঁজিবাজার। আর বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ার দর হারানোর কারণে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। বাজারকে টেনে ইতিবাচক পথে আনতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কোনো পদক্ষেপই কাজে আসছে না। অস্বাভাবিক আচরণেই করছে পুঁজিবাজার।
ঈদের আগে এই অস্বাভাবিক পতনের আচরণে বাজার থেকে একশ্রেণীর সুবিধাবাদী বিনিয়োগকারী লাখ কোটি টাকা বের করে নিয়ে গেছেন। আর সেই আচরণ এখনো বহমান। ফলে কমছে বাজার মূলধন আর শুস্ক হচ্ছে তারল্য। গতকালও ডিএসইর প্রধান সূচক ৫৪.৬৩ পয়েন্ট এবং সিএসইর প্রধান সূচক সিএএসপিআই ১৭৩.৯২ পয়েন্ট হারিয়েছে। বাজার মূলধন কমেছে এক দিনে ৮২৫ কোটি টাকা বা ০.১২ শতাংশ।
লেনদেনের তথ্য থেকে বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, গতকাল দুই বাজারের সূচকের গতিপথ ছিল উত্তাল। সূচনাতে যতটা ভালো ছিল, ঘণ্টাখানেক পরে এসে সেটা আরো খারাপ হয়। দুপুরের পর লেনদেনের শেষ বেলাতে পুরো নুয়ে পড়ে। দুই বাজারেই বড় অঙ্কের পয়েন্ট খোয়া যায়। ডিএসইতে এক ঘণ্টা ২০ মিনিটে ৫ কোটি ২৩ লাখ ৫০ হাজার ২৮৬টি শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড বেচাকেনা হয়েছে ২০১ কোটি ৫৬ লাখ ৩৭ হাজার টাকায়। এ সময় ১৮৭টি কোম্পানির শেয়ার দর পতনের কবলে ছিল। দর বৃদ্ধিতে ছিল ১২২টি। আর চট্টগ্রাম স্টকে ১৩ লাখ চার হাজার ৩৪৩টি শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড হাতবদল হয়েছে দুই কোটি ২২ লাখ ৯৭ হাজার ৫৩ টাকায়।
ডিএসইতে ডিএসইএক্স ৫৪.৬৩ পয়েন্ট হারিয়ে এখন পাঁচ হাজার ৫৭৮.৯৭ পয়েন্টে ও শরিয়াহ সূচক ৬.১৬ পয়েন্ট হারিয়ে এক হাজার ২২৯.৫৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসই-৩০ সূচক ৪.২৪ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১ হাজার ৯৮৪.৬৭ পয়েন্টে। ১৭ কোটি ৯৩ লাখ ৫৫ হাজার ৪৭৫টি শেয়ার, মিউচুয়াল ফান্ড ও বন্ড ডিএসইতে ৬০২ কোটি ৭৪ লাখ ৬৪ হাজার টাকায় বেচাকেনা হয়েছে। আগের দিন মঙ্গলবার লেনদেন হয়েছিল ৫৭৯ কোটি ৫৬ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিট। গতকাল লেনদেন ২৩ কোটি ১৮ লাখ টাকা বেড়েছে। ডিএসইতে মোট ৩৯৪টি কোম্পানি লেনদেনে অংশ নেয়। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৭৯টির, কমেছে ২৭৪টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪১টির।
এ দিকে ডিএসইর ব্লক মার্কেটে গতকাল ৪০টি কোম্পানি লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব কোম্পানির মোট ৩১ লাখ ৪১ হাজার ৯৯০টি শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড মোট ১৬ কোটি ৪৫ লাখ ১২ হাজার টাকায় হাতবদল হয়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হতে দেখা গেছে তিন কোম্পানির শেয়ার। কোম্পানি তিনটি হচ্ছে- ওরিয়ন ইনফিউশন, পপুলার লাইফ ও ফার্স্ট প্রাইম মিউচুয়াল ফান্ড। এই তিন প্রতিষ্ঠানের মোট শেয়ার লেনদেন হয়েছে ছয় কোটি ২০ লাখ টাকা ২০ হাজার টাকার। এই তিন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ওরিয়ন ইনফিউশনের দুই কোটি ৫৫ লাখ ৯০ হাজার টাকার, পপুলার লাইফের এক কোটি ৭৮ লাখ টাকার এবং ফার্স্ট প্রাইম মিউচুয়াল ফান্ডের এক কোটি ৭৫ লাখ ৩০ হাজার টাকার ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
অন্য দিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) গতকাল সবগুলো সূচকই পয়েন্ট খুঁইয়েছে। সিএসই-৫০ সূচক ৯.১৮ পয়েন্ট, সিএসই-৩০ সূচক ১৪২.৭৪ পয়েন্ট, সিএসসিএক্স ৯৭.২৬ পয়েন্ট এবং সিএএসপিআই ১৭৩.৯২পয়েন্ট হারিয়েছে। ৬৫ লাখ ২০ হাজার ৮৯৮টি শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড হাতবদল হয়েছে মোট ২৬ কোটি সাত লাখ ২৫ হাজার ৩৬৭ টাকা বাজারমূল্যে। মঙ্গলবার লেনদেন হয়েছিল ১৫ কোটি ৬৯ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট। প্রায় ১১ কোটি টাকার বেশি লেনদেনে বেড়েছে। সিএসইতে ২২৭টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৪১টির, কমেছে ১৬৬টির এবং দর অপরিবর্তিত রয়েছে ২০টি প্রতিষ্ঠানের।



Contact
reader@banginews.com

Bangi News app আপনাকে দিবে এক অভাবনীয় অভিজ্ঞতা যা আপনি কাগজের সংবাদপত্রে পাবেন না। আপনি শুধু খবর পড়বেন তাই নয়, আপনি পঞ্চ ইন্দ্রিয় দিয়ে উপভোগও করবেন। বিশ্বাস না হলে আজই ডাউনলোড করুন। এটি সম্পূর্ণ ফ্রি।

Follow @banginews