মানসিক চাপ, হতাশা, অস্থিরতা, অবসাদ, দুশ্চিন্তা, মাদক সেবন, মেনোপজ ইত্যাদি নানা কারণে মুড সুইং হয়। আবার পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব হলেও মুডসুইং হয়। আপনার যদি ঘন ঘন মুড সুইং হয়, তাহলে প্রথমে ঘুমের গতিবিধি ঠিক করুন। কেননা ঘুম হলো একটি স্বাভাবিক শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া। ঘুমের সময় শরীর অজান্তেই একাধিক জরুরি কাজ করে। এজন্য ঘুম থেকে উঠার পর ফ্রেশ লাগে। সব ক্লান্তি কেটে যায়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিটি মানুষের দিনে অন্ততপক্ষে ৭ ঘণ্টা ঘুমানো দরকার। আর ঘুম হতে হবে ঠিকঠাক। রাতে বার বার ঘুম ভাঙলে তা নিরবিচ্ছিন্ন ঘুম নয়। এতে সারাদিন বেশ ক্লান্ত লাগে। মন মেজাজও খারাপ থাকে। পরিস্থিতি আরও খারাপ দিকে যাওয়ার আগে সাবধান হতে হবে।
ঘুম না হলে যেসব সমস্যা হয়
ক্লান্তি
ঠিকঠাক ঘুম না হলে বেশ ক্লান্ত লাগে। দেখা যায়, ঘুম থেকে ওঠার পরও ক্লান্ত লাগে। কোনো কাজে মন বসে না। কাজে ভুল হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে। এমনকি ভুলে যাওয়ার প্রবণতাও বাড়ে। হাতে-পায়ে ব্যথা হওয়ার আশঙ্কাও প্রবল হয়। তাই এই ধরনের লক্ষণ দেখা দিলে ঠিকঠাক ঘুম হচ্ছে কিনা, তা বোঝার চেষ্টা করুন। পর্যাপ্ত ঘুমানোর চেষ্টা করুন। নয়তো সমস্যা বাড়তেই থাকবে।
ওজন বাড়ে
অনেক সময় ঠিকঠাক ঘুম না হলে ওজন বেড়ে যেতে পারে। বিশেষজ্ঞরা জানান, ঘুম ঠিকঠাক না হলে শরীরে হরমোনের ভারসাম্য বিগড়ে যায়। যার ফলে ক্ষুধা বেশি পেতে পারে। এমনকি শরীরে বেশি ফ্যাট জমতে পারে। এ কারণে দ্রুত ওজন বাড়তে থাকে। তাই চেষ্টা করুন পর্যাপ্ত সময় ঘুমাতে।
ব্রণ হতে পারে
ঠিকভাবে ঘুম না হলে ব্রণের প্রবণতা বাড়ে। কেননা ঘুম না হলে শরীরে হরমোনের ব্যালেন্স বিগড়ে যায়। ত্বকের অন্যান্য সমস্যাও হতে পারে। তাই হঠাৎ মুখে ব্রণ হলে সাবধান হন। ত্বকের যত্ন নেওয়ার পাশাপাশি ঘুমের দিকেও নজর দিন।
মুড সুইং
ঘুমের সময় মস্তিষ্ক একাধিক কাজ করে। অদরকারি স্মৃতি ‘রিসাইকেল বিন’-এ ফেলে দেয়। আর প্রয়োজনের তথ্য গচ্ছিত রাখে ব্রেনে। যার ফলে সকালে উঠে ঠিকঠাক কাজ করা যায়। মন ভালো থাকে। তবে ঘুম যদি ঠিক না হয়, তাহলে মন ভালো থাকে না। কথায় কথায় মন খারাপ হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে। তাই চেষ্টা করুন প্রতিদিন পর্যাপ্ত সময় ঘুমাতে।
ভালো ঘুমের জন্য কী করবেন?
ঘুমাতে যাওয়ার ৩০ মিনিট আগে মোবাইল থেকে চোখ সরিয়ে নিন। এসময় টিভিও দেখবেন না। রাতে কফি বা চা পান না করার চেষ্টা করুন। রাতে বেশি তেল, মশলাদার খাবার খাবেন না। ঘুম না এলে শুয়ে থাকবেন না, বরং পায়চারি করুন।