শিক্ষার্থীরা বলছেন, চট্টগ্রামের হাটহাজারীর জোবরা গ্রামে বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান। সে কারণে বিদ্রূপ করে সে গ্রামের নামটিই লেখা হয় ব্যানারে। পাশাপাশি ‘এখানে মুলার তরকারি দিয়ে ভাত খাওয়া যায়’—এ কথাও লেখা ছিল ব্যানারে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এই ব্যানার সাঁটিয়েছিলেন শিক্ষার্থীরা। বেলা একটার দিকে খুলে ফেলা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের দাবি, প্রশাসন এটি সরিয়েছে।
দীর্ঘদিন নির্বাচন না হওয়ায়, চাকসুর মতো শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিষ্ঠান যে ভাতের হোটেলে পরিণত হয়েছে, সেদিকেই ইঙ্গিত করা হয়েছে এই অভিনব প্রতিবাদে। শিক্ষার্থীরা জানান, ১৯৯০ সালের পর আর চাকসু নির্বাচন হয়নি। তিন তলার ছাত্র সংসদের কার্যালয় থাকলেও এটি এখন ক্যানটিন আর কমিউনিটি সেন্টার হিসেবেই ব্যবহার হচ্ছে। কর্মচারীদের সন্তানদের বিয়ের বিভিন্ন অনুষ্ঠানও হয়েছে চাকসুতে। গণ-অভ্যুত্থানের পরবর্তী সময়ে শিক্ষার্থীরা বারবার চাকসু নির্বাচনের দাবি জানালেও প্রশাসন গড়িমসি করেছে। এ কারণে তাঁরা এ ভবনের নাম পাল্টে ভাতের হোটেল রেখেছেন।