তার ব্যাপারে যে যাই বলুন না কেন, আসলে সাকিব আল হাসানের খবর তিনিই জানেন। এ বিশ্বসেরা ক্রিকেটার কখন কী করবেন, কবে কোথায় যাবেন-আন্দাজ করে বলা কঠিন।
এমনকি জাতীয় দলের ম্যানেজমেন্ট, থিংকট্যাঙ্ক, কোচ আর অধিনায়কও জানেন না এসব ব্যাপারে। তার ক্লাব শেখ জামাল ধানমন্ডির হেড কোচ সোহেল ইসলাম যেমন ঈদের আগে আবাহনীর সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের দিন সকালে মাঠে গিয়ে জেনেছিলেন, সাকিব ওমরাহ করতে চলে গেছেন।
এমন অবস্থা চলছে এখনও। সাকিব কবে দেশে ফিরবেন, তা জানেন না খোদ নির্বাচকরাও। গতকাল রোববার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি স্কোয়াড ঘোষণার পর দল নিয়ে কথা বলতে গিয়ে নির্বাচক হান্নান সরকার জানিয়েছিলেন, সাকিব যুক্তরাষ্ট্র থেকে ৩০ এপ্রিল ঢাকায় পৌঁছাবেন।
হান্নান জানান, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে মাঠে নামার আগে প্রস্তুতি নিতে প্রিমিয়ার লিগের দুটি ম্যাচ খেলতে চান সাকিব। তাই তাকে সিরিজের প্রথম তিন ওয়ানডেতে রাখা হয়নি।
ওপরের কথাগুলো হান্নান সরকারের মুখ থেকে উচ্চারিত হলেও এগুলো আসলে টিম ম্যানেজমেন্টের কথাই। নির্বাচকদের মতও সেটা। সেখানে বলা হলো, সাকিব দেশে ফিরবেন ৩০ এপ্রিল। কিন্তু ভেতরের খবর, সাকিব গতকাল ২৮ এপ্রিল রাতেই ঢাকা ফিরে এসেছেন।
সাকিবের ঘনিষ্ঠ মহল জানিয়েছে, দেশে ফিরে নিজ শহর মাগুড়ায় চলেও গেছেন। এদিকে, সাকিব আগামীকাল ৩০ এপ্রিল বিকেএসপিতে আবাহনীর বিপক্ষে খেলবেন কিনা, তার দল শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের কেউ তা নিশ্চিত করে জানাতে পারেননি। তবে ধরেই নেওয়া যায় , সাকিব মঙ্গলবার না খেললেও ৩ আর ৬ মে পরের দুটি ম্যাচ খেলবেন।
এআরবি/এমএমআর/এএসএম