সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বৈঠকে খেলাপি ঋণ নিয়ন্ত্রণ, ঋণ বিতরণে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ, কমপ্লায়েন্স পরিপালন, মূলধন শক্ত অবস্থানে রাখার নির্দেশনা দেয়া হতে পারে। পাশাপাশি এই ব্যাংকগুলোর ঋণ বিতরণের ক্ষেত্রে প্রচলিত পদ্ধতি পরিবর্তন করে উন্নয়নমূলক কৃষি ও ছোট উদ্যোক্তাদের বেশি ঋণ দেয়ার পরামর্শ দেয়া হবে। এছাড়া বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের প্রতি বেশি নজর দেয়ার পরামর্শ আসতে পারে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, গত জুন পর্যন্ত বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৩১৬ কোটি টাকা। একই সময়ে নিরাপত্তা সঞ্চিতি বা প্রভিশন ঘাটতি ৯৩ কোটি টাকা এবং মূলধন ঘাটতি রয়েছে ৭ হাজার ৩১৮ কোটি টাকা। এছাড়া ব্যাংকটি গত ছয় মাসে লোকসান দিয়েছে ৫১১ কোটি টাকা। বিকেবির বর্তমানে শাখা রয়েছে ১ হাজার ৩০টি। এর মধ্যে বেশকিছু শাখা রয়েছে লোকসানে। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, গত জুন পর্যন্ত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ২০৩ কোটি টাকা। একই সময়ে মূলধন ঘাটতি রয়েছে ৭১০ কোটি টাকা। তবে রাকাব গত ছয় মাসে নিট মুনাফা করেছে প্রায় ১০ কোটি টাকা। এছাড়া রাকাবের কোনো প্রভিশন ঘাটতি নেই। রাকাবের বর্তমানে শাখা রয়েছে ৩৭৭টি। রাকাব মূলত রাজশাহীসহ উত্তরাঞ্চলের কৃষকদের মধ্যে ঋণ বিতরণ করে থাকে। বাংলাদেশ ব্যাংকের এক শীর্ষ কর্মকর্তা যুগান্তরকে বলেন, এ দুই ব্যাংকের সঙ্গে এটি মূলত সমঝোতা চুক্তি বা এমওইউ’র নিয়মিত বৈঠক। এমওইউর আলোকে গত এক বছরের বিভিন্ন সূচক ধরে পর্যালোচনা করা হবে।
প্রসঙ্গত, বিকেবি ও রাকাবের আর্থিক অবস্থার উন্নয়নে ২০০৬-০৭ অর্থবছর থেকে সমঝোতা চুক্তি (এমওইউ) করে আসছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এমওইউতে খেলাপি ঋণ আদায়, ঋণ প্রবৃদ্ধি যথাযথ রাখা, লোকসানি শাখা ও পরিচালন ব্যয় কমানো, ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন, অভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণ ও সুপারভিশনের উন্নয়নসহ বিভিন্ন বিষয়ে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রতিবছর একবার ব্যাংকগুলোর সঙ্গে নিয়মিত বৈঠকের মাধ্যমে এসব লক্ষ্য অর্জনের মূল্যায়ন করা হয়।

বিশেষায়িত বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক (বিকেবি) ও রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের (রাকাব) আর্থিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে না। এতে খানিকটা বিব্রত বাংলাদেশ ব্যাংক। কারণ ব্যাংক দুটির সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের সমঝোতা চুক্তি (এমওইউ) খুব বেশি কাজে দিচ্ছে না। প্রত্যেক বছর ব্যাংকগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈঠক হলেও কমানো যাচ্ছে না অনিয়ম ও দুর্বলতা। শুধু তা-ই নয়, সুশাসনের অভাবে দিন দিন অবনতির দিকেই যাচ্ছে এসব ব্যাংক। বিশেষ করে গত তিন মাসে খেলাপি ঋণ, মূলধন ঘাটতি ও লোকসানি শাখা বেড়ে যাওয়ায় ব্যাংকগুলোর প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আজ সার্বিক বিষয় পর্যালোচনার জন্য দুই ব্যাংকের সঙ্গে বৈঠক করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যাংকের মিনি কনফারেন্স হলে বৈঠকটি বিকাল ৩টায় শুরু হবে। গভর্নর ফজলে কবিরের সভাপতিত্বে বৈঠকে বিকেবি ও রাকাবের চেয়ারম্যান-এমডি উপস্থিত থাকবেন। এছাড়া সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের তদারকির দায়িত্বে থাকা ডেপুটি গভর্নর, নির্বাহী পরিচালক, মহাব্যবস্থাপক ও পর্যবেক্ষক উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বৈঠকে খেলাপি ঋণ নিয়ন্ত্রণ, ঋণ বিতরণে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ, কমপ্লায়েন্স পরিপালন, মূলধন শক্ত অবস্থানে রাখার নির্দেশনা দেয়া হতে পারে। পাশাপাশি এই ব্যাংকগুলোর ঋণ বিতরণের ক্ষেত্রে প্রচলিত পদ্ধতি পরিবর্তন করে উন্নয়নমূলক কৃষি ও ছোট উদ্যোক্তাদের বেশি ঋণ দেয়ার পরামর্শ দেয়া হবে। এছাড়া বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের প্রতি বেশি নজর দেয়ার পরামর্শ আসতে পারে।বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, গত জুন পর্যন্ত বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৩১৬ কোটি টাকা। একই সময়ে নিরাপত্তা সঞ্চিতি বা প্রভিশন ঘাটতি ৯৩ কোটি টাকা এবং মূলধন ঘাটতি রয়েছে ৭ হাজার ৩১৮ কোটি টাকা। এছাড়া ব্যাংকটি গত ছয় মাসে লোকসান দিয়েছে ৫১১ কোটি টাকা। বিকেবির বর্তমানে শাখা রয়েছে ১ হাজার ৩০টি। এর মধ্যে বেশকিছু শাখা রয়েছে লোকসানে। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, গত জুন পর্যন্ত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ২০৩ কোটি টাকা। একই সময়ে মূলধন ঘাটতি রয়েছে ৭১০ কোটি টাকা। তবে রাকাব গত ছয় মাসে নিট মুনাফা করেছে প্রায় ১০ কোটি টাকা। এছাড়া রাকাবের কোনো প্রভিশন ঘাটতি নেই। রাকাবের বর্তমানে শাখা রয়েছে ৩৭৭টি। রাকাব মূলত রাজশাহীসহ উত্তরাঞ্চলের কৃষকদের মধ্যে ঋণ বিতরণ করে থাকে। বাংলাদেশ ব্যাংকের এক শীর্ষ কর্মকর্তা যুগান্তরকে বলেন, এ দুই ব্যাংকের সঙ্গে এটি মূলত সমঝোতা চুক্তি বা এমওইউ’র নিয়মিত বৈঠক। এমওইউর আলোকে গত এক বছরের বিভিন্ন সূচক ধরে পর্যালোচনা করা হবে।প্রসঙ্গত, বিকেবি ও রাকাবের আর্থিক অবস্থার উন্নয়নে ২০০৬-০৭ অর্থবছর থেকে সমঝোতা চুক্তি (এমওইউ) করে আসছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এমওইউতে খেলাপি ঋণ আদায়, ঋণ প্রবৃদ্ধি যথাযথ রাখা, লোকসানি শাখা ও পরিচালন ব্যয় কমানো, ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন, অভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণ ও সুপারভিশনের উন্নয়নসহ বিভিন্ন বিষয়ে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রতিবছর একবার ব্যাংকগুলোর সঙ্গে নিয়মিত বৈঠকের মাধ্যমে এসব লক্ষ্য অর্জনের মূল্যায়ন করা হয়।



Contact
reader@banginews.com

Bangi News app আপনাকে দিবে এক অভাবনীয় অভিজ্ঞতা যা আপনি কাগজের সংবাদপত্রে পাবেন না। আপনি শুধু খবর পড়বেন তাই নয়, আপনি পঞ্চ ইন্দ্রিয় দিয়ে উপভোগও করবেন। বিশ্বাস না হলে আজই ডাউনলোড করুন। এটি সম্পূর্ণ ফ্রি।

Follow @banginews