আতাউর রহমান ভূঁইয়া স্পোর্টিং ক্লাবের নারী ফুটবলাররা কয়েক মৌসুম ধরেই বাফুফে ভবনের আবাসিক ক্যাম্পে থেকেই নারী লিগে খেলেছেন। ফেডারেশনের অর্থে একটি ক্লাব সব সুবিধা নেওয়ায় ক্ষুব্ধ ছিলেন বসুন্ধরা কিংস ক্লাব কর্তারা। এটা নিয়ে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনে নিজেদের আপত্তির বিষয়টিও জানিয়েছিলেন। কিন্তু ফেডারেশন থেকে সেই অর্থে ইতিবাচক জবাব না পাওয়া এবং ফুটবলাররা তিন গুণ অর্থ দাবি করায় মেয়েদের প্রিমিয়ার লিগের নতুন মৌসুমে খেলছে না বসুন্ধরা কিংস।
যে বিষয়টি নিয়ে আপত্তি ছিল কিংসের, একই ব্যাপার দেখা যাচ্ছে এবারের লিগেও। আতাউর রহমান ভূঁইয়া স্পোর্টিং ক্লাবের সঙ্গে নাসরিন স্পোর্টস একাডেমির ফুটবলাররাও থাকছেন বাফুফের আবাসিক ক্যাম্পে। এবার সংখ্যাটা আরও বেশি। নাসরিন একাডেমিতে খেলা ১৫ নারী ফুটবলারের সঙ্গে আতাউর রহমান ভূঁইয়ার ৭-৮ জন ফেডারেশনের ক্যাম্পে থেকে সব সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে খেলবেন নিজ নিজ ক্লাবে।
যদিও নাসরিন স্পোর্টস একাডেমির কর্ণধার নাসরিন আক্তার বলছেন, ক্লাবের খরচেই ক্যাম্পে থাকছেন মেয়েরা, ‘বাফুফে ক্যাম্পে থাকতে হলে তো ক্লাবকে অর্থ বহন করতে হবে। এটাই হচ্ছে শর্ত। ক্যাম্পে মেয়েদের সব রকম খরচ বহন করব আমরাই। এর বাইরে যে কয়েকজন ফুটবলার আছেন, তারা সবাই যাত্রাবাড়ীতে অবস্থিত আমাদের ক্লাবেই থাকবেন।’
বাস্তবে এমনটা হওয়ার সম্ভাবনা কম। কারণ নাসরিন স্পোর্টস একাডেমির শক্তিশালী দল গড়ার পেছনের মূল কারিগর বাফুফে নারী ফুটবল কমিটির চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ। তাই ক্লাবটির কর্ণধার মুখে অর্থ দেওয়ার কথা বললেও অতীতের ন্যায় ফুটবলারদের পেছনে ব্যয় হবে বাফুফের অর্থ থেকেই। ৯ দল নিয়ে আজ থেকে শুরু নারী লিগ, অথচ ফেডারেশনের ক্যাম্পে থাকা দুই ক্লাবের মেয়েরা বাফুফের কোচদের অধীনেই নাকি অনুশীলন করছেন।
সেটার সত্যতা মিলেছে নাসরিন আক্তারের কথাতে, ‘যেহেতু লিগে আমাদের খেলা দু’দিন পর, তাই দলগত সবাই আগামীকাল (আজ) থেকে অনুশীলনে নামবে।’