ছবি: সংগৃহীত
ভারতের কেন্দ্রীয় নারী ও শিশু উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি জোর দিয়ে বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গে নাগরিকপঞ্জি বা এনআরসি করার ব্যাপারে কেন্দ্রীয় সরকার দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। মোদি সরকারের ১০০ দিন উপলক্ষে মঙ্গলবার কলকাতায় সাংবাদিকদের সামনে এ কথা বলেন স্মৃতি। এসময় তিনি মোদি সরকারের ১০০ দিনের সাফল্যের খতিয়ান তুলে ধরেন। কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বাতিল থেকে নাগরিক পঞ্জি— সবই সরকারের সাফল্য হিসেবে বর্ণনা করেন তিনি। জাতীয় নাগরিকপঞ্জির প্রসঙ্গেই উঠে আসে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির প্রসঙ্গ। স্মৃতি বলেন, এক সময় ভুয়া ভোটার আটকাতে ছবিসহ ভোটার কার্ড চেয়েছিলেন মমতা। এটা তার দ্বিচারিতা। কিন্তু ছবিসহ ভোটার কার্ডের আন্দোলনের সঙ্গে নাগরিকপঞ্জির কী সম্পর্ক? প্রশ্ন এড়িয়ে স্মৃতির জবাব, অনুপ্রবেশকারীদের আটকাতে পশ্চিমবঙ্গসহ পুরো দেশেই নাগরিকপঞ্জি হবে। এটা বিজেপির ঘোষিত সিদ্ধান্ত।এদিন সাংবাদিকদের কাছে কাটমানি প্রসঙ্গেও তৃণমূলের সমালোচনা করেছেন স্মৃতি। তার বক্তব্য, রাজ্য সরকার যে দুর্নীতিপরায়ণ, তা কাটমানি নিয়ে তাদের অবস্থান থেকেই স্পষ্ট। কাটমানি ফেরত নেয়ার জন্যও এ রাজ্যে হামলার শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। তবে স্মৃতির অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূল নেতা ফিরহাদ হাকিম পাল্টা কটাক্ষ করে বলেন- স্মৃতি আজ যা বলছেন, কাল নিজেই বলবেন তা ঠিক নয়। এসব কথাকে বেশি গুরুত্ব না দেয়াই ভাল। এদিকে যে প্রক্রিয়ায় আসামে নাগরিকপঞ্জি হয়েছে তার বিরোধিতা করে আগামীকাল বৃহস্পতিবার সিথি থেকে শ্যামবাজার পর্যন্ত মিছিল করবে তৃণমূল। মুখ্যমন্ত্রীরও সেই মিছিলে যোগ দেয়ার কথা। ইতোমধ্যেই জাতীয় নাগরিক পঞ্জির প্রতিবাদে রাজ্যের ব্লকে ব্লকে মিছিল এবং সভা করেছে তৃণমূল। বিধানসভাতেও নাগরিকপঞ্জির বিরুদ্ধে বিরোধী বাম ও কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূল ঐক্যমত্য হয়ে প্রস্তাব পাস করেছে। এ