বর্তমানে দেশে ১০৯টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো পরিচালিত হচ্ছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০১০ অনুযায়ী।





বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-১৯৯২ রহিতক্রমে এ আইনটি প্রণয়ন করা হয়েছে। এ আইন প্রণয়নের ফলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় একধরনের বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছে। উপাচার্যদের সঙ্গে ট্রাস্টি বোর্ডের নানারকমের অমতের ফলে শিক্ষাবস্থা অকেজো হওয়ার খবর প্রায় সংবাদপত্রে শিরোনাম হয়েছে।

ফলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন সময়োপযোগী করে উচ্চশিক্ষার মান নিশ্চিতে এখনই ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।

এক. বোর্ড অব ট্রাস্টিজ : বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০১০-এর ১৫ ও ১৬নং ধারা একসঙ্গে পর্যালোচনা করা যাক। ১৫নং ধারায় বলা হয়েছে, ‘প্রত্যেক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন ও পরিচালনার জন্য একটি বোর্ড অব ট্রাস্টিজ থাকিবে এবং উক্ত বোর্ডের সদস্যগণের মধ্য হইতে একজন সদস্য বোর্ড অব ট্রাস্টিজ এর সভাপতি নির্বাচিত হইবেন।’

১৬নং ধারায় বোর্ড অব ট্রাস্টিজকে কিছু সাময়িক ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। ১৬(১)-এ বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ সিলমোহর নির্ধারণ এবং উহার হেফাজতের ব্যবস্থা ও ব্যবহার পদ্ধতি নিরূপণ। ১৬(২). বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংগঠনিক কাঠামো অনুমোদন। ১৬(৩). সিন্ডিকেট কর্তৃক প্রণীত বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকুরিবিধি এবং বিশ্ববিদ্যালয়-সংবিধি অনুমোদনপূর্বক বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনে প্রেরণ। ১৬(৪). বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থায়নের ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ। ১৬(৫). সিন্ডিকেটের সুপারিশক্রমে বিশ্ববিদ্যালয়-সংবিধির বিধান এবং এই আইনের বিধানাবলি সাপেক্ষে সংশ্লিষ্ট বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীর পদ সৃষ্টি, সৃষ্ট পদের দায়িত্ব-কর্তব্য, চাকুরীর শর্তাবলি ও বেতনক্রম, শিক্ষার্থী ফি নির্ধারণ এবং নিয়োগসংক্রান্ত প্রস্তাব অনুমোদন। ১৬(৬). বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক হিসাব-নিকাশ নিরীক্ষার ব্যবস্থাকরণ, অনুমোদন ও পরিবীক্ষণ। ১৬(৭). সিন্ডিকেট কর্তৃক সুপারিশকৃত বাজেট অনুমোদন। ১৬(৮). সুশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সমস্যা দূরীকরণসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী-অভিভাবক, অ্যালামনাই এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য ব্যক্তিদের সহিত বছরে অন্তত একবার মতবিনিময় সভার আয়োজন এবং সভায় প্রাপ্ত মতামতের ভিত্তিতে উন্নয়ন কর্মসূচি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন। ১৬(৯). বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর এবং ট্রেজারার নিয়োগের জন্য যথাক্রমে ধারা ৩১, ৩২ ও ৩৩-এর বিধানসাপেক্ষে চ্যান্সেলর সমীপে প্রস্তাব পেশ; এবং ১৬ (১০). সিন্ডিকেট কর্তৃক প্রণীত বার্ষিক প্রতিবেদন অনুমোদন ও চ্যান্সেলর এর নিকট উহা প্রেরণ।

১৬নং অনুচ্ছেদে ট্রাস্টি বোর্ডকে যে ক্ষমতাগুলো দেওয়া হয়েছে, তা বাস্তবিকভাবে একেবারেই নগণ্য। মূলত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০১০-এ ট্রাস্টি বোর্ডকে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা বা স্থাপনের জন্য হাত বেঁধে দেওয়া হয়েছে। কাজ করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে নিতান্তই কম।

কারণ, ট্রাস্ট মানে অলাভজনক প্রতিষ্ঠান, যেখান থেকে নিয়ম অনুযায়ী কোনো আর্থিক বা অন্য কোনো প্রকার সুবিধা কেউ গ্রহণ করতে পারবে না। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতাদের মধ্যে যারা শিল্পপতি, তাদের কথা ভিন্ন হতে পারে; কিন্তু বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিল্পপতিদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়নি। যারা একটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করতে গিয়ে নিজের সর্বস্ব বিনিয়োগ করেছেন, কোটি কোটি টাকা ঋণ নিয়েছেন, জীবনের মূল্যবান সময়, মেধা ব্যয় করেছেন; অথচ তাদের কোনো অধিকার ২০১০ সালের আইনে প্রতিষ্ঠিত হয়নি। ফলে যখন বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনায় ট্রাস্টি বোর্ড কোনো হস্তক্ষেপ করতে যায়, তখনই সেটি ২০১০ সালের আইনের চোখে অপরাধ বা আইনপরিপন্থি কাজে পরিণত হয়। ট্রাস্টি বোর্ডের নামে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এরকম অভিযোগ ইউজিসি বা সরকারের কাছে রয়েছে। এসব অভিযোগ বিদ্যমান আইনের ভুলের কারণেই সৃষ্টি হয়েছে। এরকম একটি ভুল আইনের সংশোধনের উদ্যোগ গ্রহণ করা যেতে পারে।

খ. বেতন কাঠামো : বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০১০ এর ৪৩নং ধারায় বলা হয়েছে, ‘প্রত্যেক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় উহার শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারিগণের জন্য উপযুক্ত বেতন কাঠামো ও চাকুরী প্রবিধানমালা প্রস্তুত করিয়া বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের অনুমোদন গ্রহণ করিবে।’ আইনে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য উপযুক্ত বেতন কাঠামোর কথা বলা হলেও ৮০ শতাংশ বিশ্ববিদ্যালয় এ আইন মানছে না। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে রয়েছে নানা অসন্তোষ। চট্টগ্রামের ইউএসটিসি বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবরোধ ও ধর্মঘটের খবর দেশের দৈনিকগুলোয় শিরোনাম হয়েছে একাধিকবার। আইনে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় সর্বনিু সরকারি বেতন কাঠামো মানার কথা বলা থাকলে হয়তো এ ধরনের অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা ঘটত না।

গ. বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সবার জন্য উন্মুক্ত : বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০১০-এর ৪নং ধারায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা সবার জন্য উন্মুক্ত করা হলেও দেশের প্রথম সারির কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এ আইন মানছে না। এ নিয়ে ইউজিসি থেকেও নেই কোনো তদারকি। সম্প্রতি মাদ্রাসা বোর্ড থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করা এক শিক্ষার্থী প্রথম সারির কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে চাইলে তাকে ভর্তি পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছিলেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী।

ঘ. বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০১০ হালনাগাদকরণের খসড়া প্রস্তাবনা : বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০১০ হালনাগাদকরণের খসড়া প্রস্তাবনায় কমিটি কর্তৃক যেসব সুপারিশ করা হয়েছে, তা পক্ষান্তরে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে অভিভাবকশূন্যই করবে। বিশ্ববিদ্যালয় অর্থ সংকট ও সিদ্ধান্তহীনতায় স্থবির হয়ে পড়বে। কেননা, বর্তমান প্রেক্ষাপটে এ কথা ধরে নেওয়ার সুযোগ নেই যে, দেশের অনুমোদিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আর্থিকভাবে সচ্ছল কিংবা তাদের হাজার কোটি টাকার তহবিল রয়েছে।

বাস্তবতা হলো, প্রথম প্রজন্মের দু-চারটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বাদে সব বিশ্ববিদ্যালয়েরই তহবিল সংকট রয়েছে এবং পরিচালনা ব্যয়সহ উন্নয়ন কার্যক্রমে ট্রাস্টিদের নিয়মিত অর্থের সংস্থান করতে হয়। এক্ষেত্রে নিজস্ব অনুদান ছাড়া অন্য কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ঋণ, বিনিয়োগ বা আর্থিক সহায়তা পায় না কোনো বিশ্ববিদ্যালয়। কারণ, ট্রাস্টের অন্তর্ভুক্ত অলাভজনক প্রতিষ্ঠান বলে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এগিয়ে আসে না। যে কারণে করোনার সময় ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অধিকাংশই রুগ্ণ হয়ে পড়েছে এবং কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয় হস্তান্তর হওয়ার খবরও শোনা যাচ্ছে। এ অবস্থায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০১০ হালনাগাদকরণের প্রস্তাবনায় প্রদত্ত সুপারিশ শিক্ষানুরাগী ট্রাস্টিদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দূরে সরিয়ে দেবে, যার চূড়ান্ত ফল হিসাবে অনেক বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করি।

প্রকৃতপক্ষে, ২০১০ সালে নতুন করে প্রণীত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইনে বিরাজমান সমস্যা, সীমাবদ্ধতা ও সমন্বয়হীনতার বিষয়াদি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রযাত্রায় ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। এ ক্ষেত্রে ‘গোড়ায় গলদ’ প্রবাদের যথার্থতা পাওয়া যায়; আর তা হলো, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে ট্রাস্ট আইনের আওতায় আনা। বেসরকারি পর্যায়ে ইংরেজি মাধ্যম স্কুল, বিভিন্ন বেসরকারি কলেজ, এমনকি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠা বা পরিচালনার ক্ষেত্রে এমন কোনো বাধ্যবাধকতার বিধান নেই। বেসরকারি পর্যায়ে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে এমন দ্বৈতনীতি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য বড় বাধা।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০১০ অনুযায়ী, বাংলাদেশে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ট্রাস্ট আইন-১৮৮২-এর অধীনে অলাভজনক উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসাবে পরিচালিত হয়। অথচ বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ক্যাম্পাস/স্টাডি সেন্টারগুলোকে কোম্পানি আইন ১৯৯৪-এর অধীনে লাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসাবে অনুমোদন দেওয়ায় কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

কোনো ‘বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ তহবিলের অর্থ উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়োজনীয় ব্যয় ছাড়া অন্য কোনো উদ্দেশ্যে ব্যয় করা যাইবে না’ মর্মে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০১০-এর (৪৪) ৭ ধারার উল্লেখ করা হয়েছে। অন্যদিকে, বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ক্যাম্পাস/স্টাডি সেন্টার-২০১৪ বিধি-৭ (ঝ) অনুযায়ী উদ্বৃত্ত অর্থ-সম্পদ উদ্যোক্তা, স্থানীয় প্রতিনিধি ও বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে আনুপাতিক হারে বণ্টন করার কথা বলা হয়েছে, যা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০১০-এর সঙ্গে পুরোপুরি সাংঘর্ষিক।

এ প্রসঙ্গে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোক্তা-প্রতিষ্ঠাতাদের সংগঠন বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ক্যাম্পাস/স্টাডি সেন্টার পরিচালনা প্রজ্ঞাপন-২০১৪ পুনঃমূল্যায়ন ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০১০-এর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সংশোধনের দাবি জানিয়েছে, যা পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে।

মোদ্দা কথা, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০১০ অনুযায়ী, বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অলাভজনক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসাবে চলেছে। কিন্তু একসময় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো লাভের উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠাতারা স্থাপন করেছেন। ইতোমধ্যে অনেকে এটিকে অলাভজনক হিসাবে পরিচালনা করছেন। অনেকে বিভিন্নভাবে অনৈতিকভাবে লাভের অঙ্ক নিজেরা নেওয়ার চেষ্টা করছেন; কিন্তু বিশ্বের সব দেশে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় লাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসাবে পরিচালিত হচ্ছে। কিন্তু আমাদের দেশে লাভজনক হিসাবে চালু করার বিধান নেই। আমি মনে করি, লাভজনক ও অলাভজনক দুইভাবে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় চালানোর অনুমোদন দেওয়া উচিত। যারা লাভজনক হিসাবে চালাবেন, তারা সরকারকে করও দেবেন, লাভও নেবেন। আর যারা অলাভজনক হিসাবে চালাবেন, তারা তা আন্তরিকভাবে চালাবেন। কোনো লুকোচুরি করে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় চালানোর প্রয়োজন হবে না। দেশে স্কুল, কলেজ, মেডিকেল কলেজ লাভজনক হিসাবে পরিচালিত হচ্ছে। শুধু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে অলাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসাবে অনুমোদন দেওয়া কেন? দুইভাবে অর্থাৎ অলাভজনক ও লাভজনক হিসাবে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদন দেওয়া উচিত। এতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনাচার, অনিয়ম, দুর্নীতি ইত্যাদি ধীরে ধীরে দূর হয়ে যাবে।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০১০ পাশ হওয়ার আগে বলা হয়েছিল, এ আইন পাশ হলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সব অনিয়ম, দুর্নীতি বন্ধ হয়ে যাবে। কিন্তু এখনো কিছু কিছু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে বেশকিছু অনিয়ম চালু রয়েছে। তা বন্ধ করা দরকার। এজন্য ‘ট্রাস্টি বোর্ড’কে শক্তিশালী করা প্রয়োজন; সেই সঙ্গে ইউজিসিকে শক্তিশালী করে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় তদারকি বাড়াতে হবে। আইনের বিধান চালু করতে হবে। অন্যায় করলে শাস্তি হয়, তা সবাইকে বোঝাতে হবে। তা না হলে অনিয়ম, দুর্নীতি ও অসুন্দর কাজ সহজে বন্ধ হবে না।

অ্যাডভোকেট আবু বকর ছিদ্দিক : গবেষক; আইন ও এস্টেট কর্মকর্তা, আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-বাংলাদেশ



Contact
reader@banginews.com

Bangi News app আপনাকে দিবে এক অভাবনীয় অভিজ্ঞতা যা আপনি কাগজের সংবাদপত্রে পাবেন না। আপনি শুধু খবর পড়বেন তাই নয়, আপনি পঞ্চ ইন্দ্রিয় দিয়ে উপভোগও করবেন। বিশ্বাস না হলে আজই ডাউনলোড করুন। এটি সম্পূর্ণ ফ্রি।

Follow @banginews