নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন কর্মকর্তা প্রথম আলোকে জানান, সকাল থেকে এনবিআর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিজ নিজ ডেস্কে গেছেন। দাপ্তরিক কাজ করছেন। কেউ কেউ গত কয়েক দিনের আন্দোলনের নানা দিক নিয়েও আলোচনা করছেন।
আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত একাধিক কর্মকর্তা জানান, এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের সামনের সারির নেতাদের মধ্যে বদলি আতঙ্ক বিরাজ করছে। অবশ্য দেড় মাস ধরে সব পক্ষের মতামতের ভিত্তিতে এনবিআরের যৌক্তিক সংস্কারে দাবিতে আন্দোলন করছেন এনবিআরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের ব্যানারে এই আন্দোলন হয়।
গত কয়েক দিনের আন্দোলনে বিশেষ করে গত শনিবার ও গতকাল রোববারের কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচিতে দেশের আমদানি–রপ্তানি বাণিজ্য অচল হয়ে পড়ে। আন্দোলন প্রত্যাহারের বিষয়ে গত দুই দিন দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ীরা সমঝোতার উদ্যোগ নেন। গতকাল দিনভর নানা উদ্যোগ নেন তাঁরা। ব্যবসায়ীদের একটি প্রতিনিধিদল অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে সচিবালয়ে বৈঠক করে। এরপর এনবিআরের আন্দোলনরত ব্যক্তিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে গতকাল রাতে যৌথ সংবাদ সম্মেলন করেন ব্যবসায়ী ও আন্দোলনকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। সংবাদ সম্মেলনে এনবিআরের কর্মকর্তারা আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন। এদিকে সরকারও কঠোর অবস্থানে যায়। সরকার এনবিআরের চাকরিকে অত্যাবশ্যক সেবা ঘোষণার পাশাপাশি এনবিআরের ছয় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্তে নামে।