নিউজ আপলোড : ঢাকা , মঙ্গলবার, ০৭ এপ্রিল ২০২০

করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে নিউইয়র্কে। মৃতদেহ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছে কর্তৃপক্ষ। তাই এখন তারা ভাবছে, নগরের পার্কগুলোকেই অস্থায়ী সমাধিক্ষেত্রে রূপান্তর করবে। গতকাল সোমবার পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় ৩ লাখ ৩৬ হাজার ৮৫১ জন আক্রান্ত হয়ে ৯ হাজার ৬২০ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ১৭ হাজার ৯৭৭ জন মানুষ সুস্থ হয়েছে।

কাউন্সিলম্যান মার্ক লেভিন সোমবার এই পরিকল্পনার কথা জানিয়ে একটি টুইট করেছেন।

টুইট বার্তায় লেভিন লিখেছেন, ইতালিতে মৃতদেহগুলো রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখা গেছে। সামরিক বাহিনী গির্জা থেকে, রাস্তা থেকে লাশ সংগ্রহ করেছে। এই দৃশ্যের পুনরাবৃত্তি যেন না হয়, সে জন্যই নিউইয়র্ক সিটি পার্কগুলোকে অস্থায়ী সমাধিক্ষেত্রে রূপান্তর করার চিন্তা করা হচ্ছে। যদিও এটা মেনে নেওয়া কষ্টকর। পার্কে সুড়ঙ্গের মতো খুঁড়ে সারিবদ্ধভাবে ১০টি কফিন রাখার ব্যবস্থা করা হতে পারে।

লেভিন লিখেছেন, অত্যন্ত সুশৃঙ্খলভাবে পূর্ণাঙ্গ মর্যাদায় যেন মৃতদেহগুলোর সৎকার করা যায়, সে জন্যই এই ব্যবস্থা। যদিও অনেকের পক্ষেই এটা মেনে নেওয়া কষ্টকর হবে।

সিটি কাউন্সিলের স্বাস্থ্য কমিটির সভাপতি লেভিন আরও বলেন, আমাদের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য হলো—ইতালির মতো মৃতদেহের দৃশ্যগুলো এড়ানো।

স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, সোমবার দুপুর পর্যন্ত নিউইয়র্ক সিটিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয় ৬৭ হাজার ৮২০ জন। মারা গেছে ৩ হাজার ১২৮ জন।

পার্ককে সমাধিক্ষেত্রে রূপান্তরের পরিকল্পনা আসে ফিউনেরাল হোমগুলো ভরে যাওয়ায়। মৃতদেহ সমাহিত করার আগের প্রক্রিয়াগুলো অনুসরণ করা হয় ফিউনেরাল হোমে। এখন ফিউনেরাল হোমেও ঠাঁই নেই। কিছু পরিবার অপেক্ষায় থেকে ফিরে গেছে। এ জন্যই গত মাসে ম্যানহাটানের বেলভিউ হাসপাতালে একটি বিশাল অস্থায়ী মর্গ নির্মাণ করা হয়।

গত ৩১ মার্চ নিউইয়র্কের ব্রুকলিন হাসপাতাল সেন্টারের বাইরে কিছু শ্রমিককে কোল্ডস্টোরেজ ট্রাকে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের লাশ রাখতে দেখা গেছে। এই ছবি গণমাধ্যমে এলে সারা দুনিয়ার মানুষ দেখতে পায়। এরই প্রেক্ষাপটে বিকল্প ব্যবস্থা খুঁজছিল কর্তৃপক্ষ।



Contact
reader@banginews.com

Bangi News app আপনাকে দিবে এক অভাবনীয় অভিজ্ঞতা যা আপনি কাগজের সংবাদপত্রে পাবেন না। আপনি শুধু খবর পড়বেন তাই নয়, আপনি পঞ্চ ইন্দ্রিয় দিয়ে উপভোগও করবেন। বিশ্বাস না হলে আজই ডাউনলোড করুন। এটি সম্পূর্ণ ফ্রি।

Follow @banginews