বাংলাদেশে নারায়ণগঞ্জের আলোচিত স্কুল শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তের বিরুদ্ধে একটি ঘুষ গ্রহণের মামলায় গ্রেফতারী পরোয়ানা জারীর পর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বুধবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের একটি আদালত এ গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী করে। পরে তিনি আত্নসমর্পন করলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠায়।
যে মামলাটিতে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী করা হয়েছিল, সেখানে মামলার বাদী অভিযোগ করেছেন যে চাকরী এমপিওভূক্ত করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে শ্যামল কান্তি ভক্ত তার কাছ থেকে এক লাখ পঁয়ত্রিশ হাজার টাকা নিয়েছেন। মামলার বাদী অভিযোগ করেন, তার চাকরী এমপিওভূক্তি হয়নি এবং তিনি টাকাও ফেরত পাননি।
এ মামলাটি পুলিশ তদন্ত করার পর শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে। বুধবার সে অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী করে আদালত।
ধর্মীয় অবমাননার অভিযোগ এনে নারায়ণগঞ্জের পি আর সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে কান ধরে উঠ-বস করানোর একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ার পর বিষয়টি ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়।
স্থানীয় সাংসদ সেলিম ওসমানের নির্দেশে তাকে কান ধরিয়ে উঠ-বস করানো হয় বলে অভিযোগ উঠে। কিন্তু পরবর্তীতে সে ঘটনা তদন্তের জন্য হাইকোর্টের নির্দেশে একটি বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কিন্তু সে কমিটি শিক্ষক শ্যামল কান্তির বিরুদ্ধে ধর্মীয় অবমাননার কোন সত্যতা পায়নি। এছাড়া শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গঠিত তদন্ত কমিটিও একই কথা বলেছিল।
সে ঘটনার পর শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তের বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণের মামলা দায়ের করা হয়। শ্যামল কান্তি ভক্তের আইনজীবী সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, গ্রেফতারী পরোয়ানা জারীর বিষয়টি আদালতের এখতিয়ার। তবে তারা বিষয়টি আইনগতভাবে মোকাবেলা করবেন।