কামরুলের মা আগ্রাবাদ তালেবিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও বাবা আতাউর রহমান বাঁশখালী আলাওল সরকারি কলেজের শিক্ষক। নগরের আগ্রাবাদ হাউজিং সোসাইটি এলাকায় তাঁরা বসবাস করেন। গ্রামের বাড়ি আনোয়ারা উপজেলায়। দুই ভাইয়ের মধ্যে কামরুল বড়। ছোট ভাইও কিছুদিন আগে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিল। একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে সে বাসায় ফেরে। কিন্তু সুস্থ হয়ে আর ফিরতে পারল না কামরুল।
ডেঙ্গু আক্রান্ত হওয়ার পর কামরুলকে ভর্তি করা হয়েছিল মা ও শিশু হাসপাতালে। ১৩ দিন সেখানে ডেঙ্গু জ্বরের সঙ্গে লড়াই করেছে সে। শেষ ১১ দিন ছিল নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে। সেখানেই সে মারা যায়।
হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ফাহিম রেজা বলেন, ‘ছেলেটা দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন ছিল। এরপর আজ মারা যায়।’
হালিশহরের হাউজিং সেটেল্ড স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী ছিল সে। পরীক্ষার ফরম পূরণ করার আগেই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয় সে। শেষ পর্যন্ত আর ফরম পূরণ করতে পারল না।
সোমবার বাদ মাগরিব স্থানীয় হাউজিং সোসাইটি মসজিদে কামরুলের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় তার সহপাঠী, শিক্ষকসহ শত শত মানুষ অংশ নেন। এই মসজিদে প্রতিদিন নামাজ পড়ত কামরুল।