সারাদেশের মতো চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের পাড়ায় পাড়ায় চলছে কোরবানির অন্যরকম উৎসব। ঈদের নামাজ শেষ করে সামর্থ্য অনুযায়ী ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা পশু কোরবানি করছেন।

শনিবার (৭ জুন) সকালে ঈদুল আজহার নামাজের পরপরই উপজেলার ১৬ ইউনিয়ন ও দুই পৌরসভার ২১০টি গ্রামে শুরু হয় পশু কোরবানি।

সরেজমিনে দেখা গেছে, ত্যাগের মহিমায় যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পশু কোরবানি করছেন উপজেলাবাসী। কেউ কোরবানি দিচ্ছেন রাস্তায় থাকা নির্ধারিত স্থানে আবার কেউ কোরবানি দিচ্ছেন বাসাবাড়ির আঙিনায়। কোরবানির কসাইরা ও মৌসুমী কসাইরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। চামড়া ছাড়িয়ে মাংস কাটার কাজ করছেন তারা।

ওয়াহেদপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ ওয়াহেদপুর এলাকার মেহেদী হাসান বলেন, মহান আল্লাহপাক তৌফিক দিয়েছেন তাই প্রতিবারের মতো এবারও পশু কোরবানি দিয়েছি। তবে কোরবানির পশুর সাথে যেন মনের পশুও কোরবানি দেয়া হয় সেদিকে আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে।

সাহেরখালী ইউনিয়নের দক্ষিণ মঘাদিয়া ঘোনা এলাকার বাসিন্দা মো: নুর উদ্দিন বলেন, কোরবানির ঈদ মানে অন্যরকম অনুভূতি। ঈদের নামাজ শেষে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য পশু কোরাবানি দিয়েছে। কাটাকাটি শেষ হলে আত্মীয়-স্বজন ও গরিব-দুঃখীদের সাথে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করে নেব।

শিক্ষার্থী মুনতাসির, মাসুক বলেন, বছরের একদিন পরিবারের সাথে কোরবানি উপলক্ষে গরুর গোশত কাটাকাটি করতে ভালোলাগে।

এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চড়া মজুরি চাচ্ছেন পেশাদার কসাইরা। অনেকে চড়া মজুরি দিয়েও কসাই পাননি। তাই বাধ্য হয়েই মৌসুমি কসাই দিয়ে চামড়া ছাড়ানোর কাজ করাচ্ছেন কোরবানি দাতারা। অনেকে এবার কসাইয়ের অভাবে কোরবানি দেবেন ঈদের দ্বিতীয় এবং তৃতীয় দিন।

মিরসরাই উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা: জাকিরুল ফরিদ বলেন, এবার উপজেলাজুড়ে ৫০ হাজার পশু কোরবানি হয়েছে। পশু প্রস্তুত ছিল প্রায় ৫৭ হাজার। খামারিরা অন্য বছরের তুলনায় পশুর দামও ভালো পেয়েছেন।



Contact
reader@banginews.com

Bangi News app আপনাকে দিবে এক অভাবনীয় অভিজ্ঞতা যা আপনি কাগজের সংবাদপত্রে পাবেন না। আপনি শুধু খবর পড়বেন তাই নয়, আপনি পঞ্চ ইন্দ্রিয় দিয়ে উপভোগও করবেন। বিশ্বাস না হলে আজই ডাউনলোড করুন। এটি সম্পূর্ণ ফ্রি।

Follow @banginews