ওয়ার্ল্ডোমিটারের সূত্রানুসারে, জুলাই মাসের ২ তারিখে দেশে এ যাবতকালে করোনার সর্বোচ্চ শনাক্ত হয়েছিল ৪০১৯ জন। এরপরে আগস্ট মাসের প্রথম থেকেই আক্রান্ত শনাক্তের সংখ্যা কমতে শুরু করেছে। যদিও জুলাই মাসে করোনা পরীক্ষার সংখ্যা অনেক বেশি ছিল, বর্তমানে তা প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে।
দেশে কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের ১৫৬তম দিনে গত ২৪ ঘণ্টায় ২৯০৭ জনের দেহে করোনাভাইরাস এর উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে ৩৯ জন মারা গেছেন। এসময়ে সুস্থ হয়েছেন ২০৬৭ জন। এ নিয়ে দেশে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ৬০ হাজার ৫০৭ জন। মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৩ হাজার ৪৩৮-এ। সোমবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত অনলাইন বুলেটিনে এসব তথ্য জানান।
আক্রান্তের সংখ্যায় চীন-ইটালিকে ছাড়িয়ে বিশ্ব তালিকায় ১৫ নম্বরে এখন বাংলাদেশ। আর মৃতের সংখ্যার দিক থেকে ২৯ নম্বরে। দেশে সবমিলিয়ে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ লাখ ৫০ হাজার ৪৩৭ জন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৫৭ দশমিক ৭৫ শতাংশ। বিশ্ব তালিকায় সুসস্থতার সংখ্যায় ১৬তে বাংলাদেশ। যা বেশ ইতিবাচক।
দেশের ব্যাংক থেকে শুরু করে নানা সরকারি-বেসরকারি অফিস ইতিমধ্যে প্রায় পুরোদমে খুলে গেছে। প্রথমে বিকেল ৪টা পরে সন্ধ্যা ৭টা, এভাবে ধীরে ধীরে অন্যান্য দোকানপাট ও মার্কেট খোলা রাখা হচ্ছে। আভ্যন্তরীণ বিমান, বাস, রেল, ও নৌ চলাচল স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাচল করছে প্রায় স্বাভাবিক সময়ের মতো। সামনের ১৭ আগস্ট খুলে দেয়া হচ্ছে দেশের সবচেয়ে বড় পর্যটন কেন্দ্র কক্সবাজার। স্কুল-কলেজ বিষয়ে যদিও এখনও কোনো সিদ্ধান্ত না হলেও অনলাইনে চলছে শিক্ষা কার্যক্রম।
ইটালি-ইরান-বলিভিয়ায় আক্রান্তের পাশাপাশি মৃত্যুর সংখ্যা ছিল অনেক। পথে-ঘাটে, হাসপাতাল-মর্গে মরদেহ এবং কবরাস্থানে জায়গার অভাব দেখা দেবার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। সবমিলিয়ে তথ্য-উপাত্তের দৃষ্টিতে দেশ মোটামুটি স্বাভাবিক বললে ভুল হবে না। ভ্যাকসিন আবিষ্কারের আগ পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে আর সচেতন থেকে করোনা মোকাবিলা করা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। আমাদের আশাবাদ, ধৈর্য্য ধরে নিয়ম মানলে ধীরে ধীরে করোনা পরাজিত হবেই হবে।