ন্যাটোর নেতারা এ ব্যাপারে একমত হয়েছেন যে ২০৩৫ সালের মধ্যে সদস্যরাষ্ট্রগুলো তাদের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ৫ শতাংশ ব্যয় করবে ‘প্রতিরক্ষা খাতের মূল প্রয়োজন মেটাতে এবং প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তাসংক্রান্ত বিষয়ে’। ন্যাটোর মহাসচিব মার্ক রুত্তে বলেছেন, এটি একটি ‘বিস্ময়কর অগ্রগতি’। এই সিদ্ধান্ত জোটভুক্ত দেশগুলোর ১০০ কোটি মানুষের ‘স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা’ নিশ্চিত করবে। সামরিক উত্তেজনা বাড়ানোর প্রেক্ষাপট থেকে এটি নিঃসন্দেহে ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত। এখন প্রশ্ন হলো, এই ব্যয় কি সত্যিই নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে? আর সেটা যদি হয়ও তাহলে কার জন্য?
সামরিক খাতে জিডিপির ৫ শতাংশ ব্যয়ের বিষয়টি সংবাদমাধ্যমের শিরোনামে এতটাই জোরালোভাবে এসেছে যে অনেকেই ভুলে যেতে পারেন, দীর্ঘদিন ধরে ন্যাটোর অনেকগুলো সদস্যরাষ্ট্রই এ খাতে জিডিপির ২ শতাংশ ব্যয়ের লক্ষ্য অর্জনকে হয় অসম্ভব, নয়তো গুরুত্বহীন বলে মনে করেছে। ২০০২ সালে ন্যাটো প্রথম প্রতিরক্ষা খাতে জিডিপির ২ শতাংশ ব্যয়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিল। কিন্তু ২০২১ সাল পর্যন্ত মাত্র ছয়টি সদস্যদেশ সেই লক্ষ্য অর্জন করতে পেরেছিল। তবে তিন বছরের ব্যবধানে এখন ২৩টি দেশ ওই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করেছে, আর ২০২৫ সালের মধ্যে ৩২ সদস্যই তা পূরণ করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।