সেই রাশিয়া বিশ্বকাপ থেকেই ইংলিশরা স্লোগান দিয়ে আসছে– ‘ফুটবল কামিং হোম...।’ কিন্তু ফুটবলের সেই বাড়ি ফেরা গত ছয় বছরে হয়নি। মাঝে দু-দুটি বিশ্বকাপ গেছে, একটি ইউরো গিয়ে আরেকটি চলছে। যেখানে সেমিফাইনালে আজ (বাংলাদেশ সময় রাত ১টা) নেদারল্যান্ডসের মুখোমুখি ইংল্যান্ড। একদিকে হ্যারি কেইন, বেলিংহাম, ফোডেন; অন্যদিকে কমলা জার্সি গায়ে ফন ডাইক, গ্যাকপো, ডিপাইরা– জমজমাট এক ম্যাচ দেখার অপেক্ষায় ফুটবলপ্রেমীরা।
ইউরোপের শ্রেষ্ঠত্বের এই আসরে নেদারল্যান্ডস ১১ বার অংশগ্রহণ করে চ্যাম্পিয়ন কেবল একবার, ১৯৮৮। এর পর কখনও সেমি, কখনও কোয়ার্টার থেকে বিদায় নিয়েছে দেশটি। এবারের ইউরোতেও তারা পোল্যান্ডের সঙ্গে জয় দিয়ে শুরু করে। এর পর ফ্রান্সের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র। তবে গ্রুপ পর্বে অস্ট্রিয়ার কাছে হেরে যায় তারা। রোমানিয়াকে হারিয়ে কোয়ার্টারে তুরস্কের বিপক্ষে জিতে আজ ইংল্যান্ডের সামনে ডাচরা।
সেই তুলনায় ইংল্যান্ডকে এখন পর্যন্ত এই আসরে তেমন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয়নি। সার্বিয়া, স্লোভেনিয়া ও ডেনমার্কের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বে রেস দিয়ে শেষ ষোলোয় পায় তারা স্লোভাকিয়াকে। সুইজারল্যান্ডের কাছে কোয়ার্টার ফাইনালে টাইব্রেকারেই যা একটু সমস্যায় পড়েছিল তারা। তবে শিরোপার খোঁজে আসা ইংলিশরা ভুগছে গোল খরায়। পাঁচ ম্যাচে মাত্র ৫ গোল (টাইব্রেকার বাদে)।
এই লড়াইয়ে ঘুরেফিরে ডাচদের দুঃসহ অতীতই ইংলিশদের প্রেরণা জোগাবে কিংবা আত্মবিশ্বাস বাড়াবে। কারণ ইউরোতে এখন পর্যন্ত পাঁচবার সেমিফাইনাল খেলেছে, যার মধ্যে শুধু একবার ফাইনালে গেছে দলটি। বাকি চারবারই হেরেছে। অর্থাৎ ডাচদের জন্য এই ‘সেমিগেট’ পার হওয়া রীতিমতো মহাকঠিন কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এবার আরও সেই গেটের শেষ দুয়ারে থাকবেন ইংলিশ গার্ডরা। চাইলেও ১৯৮৮ সালের মতো পার হতে পারছেন না রোনাল্ড কোম্যানের ছাত্ররা।
১৯৮৮তে হারতে হারতে সেমিফাইনালে জার্মান-যন্ত্র অচল করে জিতে গিয়েছিল ডাচরা। ম্যাচটি হয়েছিল সমানে সমান হয়। কিন্তু এবার ইংল্যান্ড দারুণ ফেভারিট। গ্যারেথ সাউথগেটের এই ব্যাটালিয়নের সঙ্গে শেষ ৯ বারের দেখায় মাত্র এক ম্যাচে জিতেছে ডাচরা। পুরোনো এই হিসাব একপাশে রাখলেও এবার ডাচদের চেয়ে ইংলিশদের পাল্লাই ভারী। তারা চাইছে দ্বিতীয় ইউরোটা ঘরে তুলতে। তা ছাড়া কোনো কারণে যদি ম্যাচ টাইব্রেকারে যায়, তাহলে তো লটারির মতো একটা কিছু লেগে যেতেও পারে। কারণ টাইব্রেকারে কে জিতবে, কে হারবে, কে পেনাল্টি মিস করতে পারে; সেটা হলফ করে বলা মুশকিল।