ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় ইসরাইল হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে নতুন গোয়েন্দা তথ্য পেয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। একাধিক মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তেহরানের সাথে কূটনৈতিক আলোচনা চালিয়ে যাওয়া অবস্থাতেই ট্রাম্প প্রশাসনের নজরে এসেছে এমন তথ্য।

মঙ্গলবার (২০ মে) মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, ইসরাইল এ ধরনের হামলা চালালে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে সম্পর্কের অবনতি হবে। এটি মধ্যপ্রাচ্যে আরো বিস্তৃত আঞ্চলিক সংঘাতের ঝুঁকি তৈরি করতে পারে, যা ২০২৩ সালে গাজা যুদ্ধের পর থেকে উত্তেজনা বৃদ্ধির পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র এড়ানোর চেষ্টা করছে।

সিএনএনকে কর্মকর্তারা জানান, ইসরাইল হামলার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে কি-না তা নিশ্চিত নয়। যুক্তরাষ্ট্রও এ বিষয়ে নিশ্চিত নয় যে ইসরাইল শেষ পর্যন্ত হামলা চালাবে কি-না।

গোয়েন্দা তথ্য সম্পর্কে অবগত একজন মার্কিন কর্মকর্তা জানান, ‘সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় ইসরাইলের হামলার সম্ভাবনা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। যদি যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ইরানের সব ইউরেনিয়াম অপসারণের চুক্তি না হয়, তাহলে হামলার সম্ভাবনা আরো বাড়বে।’

ইসরাইলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ব্যক্তিগত ও সরকারি পর্যায়ের বার্তা, যোগাযোগ এবং সামরিক গতিবিধির ওপর ভিত্তি করে এ গোয়েন্দা তথ্য তৈরি হয়েছে বলে জানানো হয়। ইসরাইলের পক্ষ থেকে বিমান মহড়া সম্পন্ন করা এবং আকাশপথে গোলাবারুদ সরানোর মতো প্রস্তুতি লক্ষ্য করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

তবে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, এসব পদক্ষেপ সরাসরি হামলার উদ্দেশ্যে হতে পারে। আবার ইরানকে চাপে ফেলতেও হতে পারে, যেন তারা তাদের পারমাণবিক কর্মসূচির মূল নীতি থেকে সরে আসে।

এ বিষয়ে সিএনএন জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ ও ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মন্তব্য জানতে চাইলেও তারা সাড়া দেয়নি। ওয়াশিংটনে অবস্থিত ইসরাইলি দূতাবাসও কোনো মন্তব্য করেনি।

সিএনএনকে দেয়া তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র এখন বাড়তি গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করছে। যদি ইসরাইল সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করে, সেক্ষেত্রে ইসরাইলকে যাতে সহায়তা করা যায়। তবে ট্রাম্প প্রশাসনের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানিয়েছে, ইরান বড় ধরনের কোনো উস্কানি না দিলে যুক্তরাষ্ট্র ইসরাইলের সম্ভাব্য হামলায় এখনই সরাসরি অংশ নেবে না।

এ মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ ইস্যুতে আলোচনা অচলাবস্থায় রয়েছে। ওয়াশিংটন চচ্ছে এমন একটি চুক্তি হোক যেখানে ইরান এক শতাংশও ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করতে পারবে না।

অপরদিকে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি মঙ্গলবার বলেছেন, ‘তেহরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ বন্ধ করার যুক্তরাষ্ট্রের দাবি বড় ভুল। এ বিষয়ে আলোচনায় কোনো ফল হবে বলে আমি মনে করি না।’



Contact
reader@banginews.com

Bangi News app আপনাকে দিবে এক অভাবনীয় অভিজ্ঞতা যা আপনি কাগজের সংবাদপত্রে পাবেন না। আপনি শুধু খবর পড়বেন তাই নয়, আপনি পঞ্চ ইন্দ্রিয় দিয়ে উপভোগও করবেন। বিশ্বাস না হলে আজই ডাউনলোড করুন। এটি সম্পূর্ণ ফ্রি।

Follow @banginews