চার্লি শেরিংহ্যাম আগেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, তার বাবা বিখ্যাত ফুটবলার টেডি শেরিংহ্যাম ঢাকায় আসতে পারেন। ছেলের কথা সত্যি প্রমাণ করে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সাবেক তারকা ঢাকায় এসেছেন। রবিবার সকালে এসে বিকেলেই বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে উপস্থিত হয়েছেন ছেলের খেলা দেখতে।

দীর্ঘদেহী একহারা গড়নের টেডি শেরিংহ্যাম মোহামেডান-সাইফ স্পোর্টিং ম্যাচ শুরুর আগে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হলেন। ইন্ডিয়ান সুপার লিগে (আইএসএল) অ্যাতলেতিকো দি কলকাতার কোচের দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। বললেন, ‘কিছুদিন ধরেই চার্লি বলছিল এখানে আসতে। কিন্তু সময় হচ্ছিল না। কিছুদিন বিরতি পেয়েছি, ১৭ ডিসেম্বরের আগে অ্যাতলেতিকো দি কলকাতার খেলা নেই। তাই এখানে এলাম। অবশ্য ২৪ ঘণ্টার বেশি থাকতে পারবো না, সোমবার সকালেই চলে যেতে হবে।’

ছেলের খেলার খবর ঠিকই রাখেন টেডি শেরিংহ্যাম, ‘চার্লির খেলা দেখার চেষ্টা করি। ঢাকার মাটিতে তার প্রথম গোল দেখেছি। দ্বিতীয় গোল দেখার সুযোগ হয়নি। প্রথম গোলটি সুন্দর ছিল। পরেরটিও ভালো হয়েছে শুনেছি।’

ছেলেকে নিয়ে গর্বিত ইংল্যান্ডের সাবেক তারকা স্ট্রাইকার, ‘আমি তাকে নিয়ে গর্বিত। আমার সঙ্গে চার্লির ক্যারিয়ারের তুলনা করার কিছু নেই। সে তার মতো ভালো করছে, আমি আমার মতো খেলেছি। বাংলাদেশে এসে চার্লি যে নিজের মতো খেলছে এটাই সবচেয়ে বড় কথা।’

ভবিষ্যতে বাংলাদেশে কোচিংয়ের প্রস্তাবে কি সাড়া দেবেন? টেডির উত্তর, ‘ভবিষ্যতে কী হবে তা বলা কঠিন। এক বছর আগেও কী জানতাম কলকাতায় কোচ হবো! আসলে ফুটবল হলো ফানি গেম। এখানে কী হতে পারে, কিছুই বলা যায় না।’

১৯৯৯ চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালের স্মৃতি এখনও তার মনে উজ্বল। বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে তার গোলেই দ্বিতীয়ার্ধের ইনজুরি সময়ে সমতায় ফিরেছিল ম্যানইউ। শেষ মুহূর্তে জয়সূচক গোলটির পেছনেও ছিল তার অবদান। স্মৃতিকাতর টেডি বললেন, ‘১৯৯৯ চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালের কথা লোকজন সবসময় আমাকে জিজ্ঞেস করে। এমনও হয়, দিনে তিন বার এর উত্তর দিতে হয়! অথচ ঘটনাটা ১৮ বছর আগের। অবশ্য আমি এখনও এ নিয়ে কথা বলতে পছন্দ করি।’

ইংল্যান্ডের হয়ে ৫৫ ম্যাচে ১১ গোল তার। ১৯৯৮ ও ২০০২ বিশ্বকাপে খেলেছেন। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কিংবদন্তি কোচ স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসনের প্রসঙ্গ উঠতেই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়লেন তিনি, ‘আমি বেশ কয়েকজন কোচের অধীনে খেলেছি। তবে ফার্গুসনের সঙ্গে কারও তুলনা করতে চাই না। তিনি আমার কাছে ব্যতিক্রম, তার কাছে জীবনে অনেক কিছু শিখেছি।’

ইংল্যান্ডের ঘরোয়া ফুটবলে বিদেশি খেলোয়াড়দের আধিপত্য নিয়ে ক্ষোভ চেপে রাখতে পারলেন না টেডি শেরিংহ্যাম, ‘ইংল্যান্ডে বিদেশি খেলোয়াড় অনেক বেশি খেলে। আমার মনে হয় এটা ভুল। আমাদের জাতীয় দলে এর বিরূপ প্রভাব পড়ছে। আমাদের বয়সভিত্তিক ফুটবলের দিকে আরও জোর দেওয়া উচিত।’ 



Contact
reader@banginews.com

Bangi News app আপনাকে দিবে এক অভাবনীয় অভিজ্ঞতা যা আপনি কাগজের সংবাদপত্রে পাবেন না। আপনি শুধু খবর পড়বেন তাই নয়, আপনি পঞ্চ ইন্দ্রিয় দিয়ে উপভোগও করবেন। বিশ্বাস না হলে আজই ডাউনলোড করুন। এটি সম্পূর্ণ ফ্রি।

Follow @banginews