দক্ষিণ এশিয়ার ভৌগোলিক অবস্থার কারণে আঞ্চলিক সংযোগ ও বাণিজ্যে নতুন দিগন্ত উন্মোচন হচ্ছে। এর গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হলো বাংলাদেশের সাথে ভুটানের ট্রানজিট কার্যক্রম। দীর্ঘদিনের আলোচনার পর ২০২৫ সালের নভেম্বর মাসে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে বুড়িমারী স্থলবন্দর হয়ে ভুটানে পণ্য পরিবহনের পরীক্ষামূলক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগের বাংলাদেশ সফরের প্রথম দিনই এর উদ্বোধন, বিষয়টির গুরুত্ব বাড়িয়েছে।
বাংলাদেশের বঙ্গোপসাগরীয় অবস্থান, চট্টগ্রাম বন্দরের ব্যবহারযোগ্যতা এবং দেশের উন্নত সড়ক, রেল যোগাযোগ ট্রানজিট সক্ষমতাকে নির্ভরযোগ্য করেছে। ফলে ভুটান, নেপাল ও ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যসহ ল্যান্ডলকড অঞ্চলের জন্য বাংলাদেশের ভ‚মি ও বন্দর কেবল বিকল্প পথ নয়; বরং দ্রুত, সাশ্রয়ী ও নিরাপদ বাণিজ্য রুট হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে।
প্রথম চালান হিসেবে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ১৫ টন পণ্য বুড়িমারী হয়ে ভুটানে গেছে। এই পরীক্ষামূলক কার্যক্রম ভবিষ্যতে শত শত কার্গো চলাচলের সুযোগ তৈরি করতে পারে। ভুটানের সাথে ট্রানজিট কার্যক্রম কেবল একটি বাণিজ্যিক ঘটনা নয়; এটি বাংলাদেশের অর্থনীতি, কূটনীতি, আঞ্চলিক সংযোগ ও উন্নয়ন কৌশলের ক্ষেত্রে এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ।
বাংলাদেশ ও ভুটানের বাণিজ্য ও যোগাযোগ সম্পর্ক বহু বছর ধরে সৌহার্দ্যপূর্ণ হলেও ট্রানজিট সুবিধা চালুর যাত্রা দীর্ঘ আলোচনা-পদ্ধতির মধ্য দিয়ে এগিয়েছে। ২০২৩ সালের মার্চে দুই দেশ আনুষ্ঠানিকভাবে ট্রাফিক-ইন-ট্রানজিট চুক্তি ও সংশ্লিষ্ট প্রটোকল সই করে। এর আগে ভুটানের সব আমদানি-রফতানি কার্যক্রম প্রধানত ভারতীয় বন্দর ও সড়কের ওপর নির্ভরশীল ছিল। বাংলাদেশ ভৌগোলিকভাবে ভুটানের জন্য স্বল্প দূরত্বের, খরচ-সাশ্রয়ী ও আধুনিক বিকল্প পথ হিসেবে বিবেচিত। ফলে এই চুক্তি ভুটানের বাণিজ্য খরচ কমাতে সহায়তা করবে এবং বাংলাদেশকে আঞ্চলিক লজিস্টিক হাব হিসেবে প্রতিষ্ঠার দিকে এগিয়ে নেবে।
২০২৪ সালের অক্টোবরে ভুটান বাংলাদেশকে জানায়, তারা প্রথম পরীক্ষামূলক পরিবহনের জন্য প্রস্তুত। থাইল্যান্ড থেকে আমদানি করা ১৫ টন পণ্য চট্টগ্রাম বন্দর থেকে খালাসের পর সড়কপথে বুড়িমারী স্থলবন্দর পেরিয়ে ভারতের মধ্য দিয়ে ভুটানে পৌঁছানোর পরিবহন দায়িত্ব দেয়া হয় বাংলাদেশের মেসার্স অভি কার্গো কোম্পানিকে। এর ফলে এই দেশীয় লজিস্টিক অপারেটর আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ পেল।
গত ২২ নভেম্বর পরীক্ষামূলক কার্যক্রম শুরু হয়। ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে বাংলাদেশে এসে এটি প্রত্যক্ষ করেন।
এই ট্রানজিট চুক্তি দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক সংযোগ কাঠামোয় গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রাখতে পারে। এটি বাংলাদেশ, ভুটান ও ভারতের মধ্যে বহুপক্ষীয় সহযোগিতা বাড়ানোর পরীক্ষামূলক মডেল হতে পারে। এর সফল বাস্তবায়ন ভবিষ্যতে বৃহৎ বাণিজ্য ও মালবাহী করিডোর তৈরিতে সহায়ক হবে, যার ফলে বাংলাদেশ তার ভৌগোলিক সুবিধাকে অর্থনৈতিক শক্তিতে রূপান্তরিত করতে পারবে।
বাংলাদেশ-ভুটানের মধ্যকার ট্রানজিট ব্যবস্থা মূলত বাণিজ্যিক সেবাভিত্তিক, যেখানে ভুটান বাংলাদেশের ভ‚-সীমা অতিক্রম করে পণ্য স্থানান্তরের জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ ফি দেবে। ফলে বাংলাদেশের জন্য এটি লাভজনক। ভুটান বাংলাদেশের বন্দর, সড়ক, নিরাপত্তা, কাস্টমস ও প্রশাসনিক কাঠামো ব্যবহার করে তার পণ্য এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে স্থানান্তর করবে। বাংলাদেশ সেবার বিনিময়ে অর্থনৈতিক লাভ পাবে। বাংলাদেশ যেসব সেবা দিচ্ছে তার মধ্যে আছে ডকুমেন্ট প্রসেসিং, ট্রান্সশিপমেন্ট, নিরাপত্তা, প্রশাসনিক কার্যক্রম, স্ক্যানিং ও এসকর্ট সেবা। চট্টগ্রাম থেকে বুড়িমারী পর্যন্ত ৬৮৪ কিলোমিটার দূরত্বের জন্য এক কনটেইনারের এসকর্ট ফি থেকে উল্লেখযোগ্য রাজস্ব আসে। এ ছাড়া, কনটেইনারপ্রতি ২৫৪ টাকা স্ক্যানিং ফি রাজস্ব বৃদ্ধি করে। প্রায় ১৫ টন পণ্যের একটি চালানে টনভিত্তিক চার্জ মিলিয়ে রাজস্ব আয় হয় প্রায় তিন হাজার ৩০০ টাকা। এর সাথে স্ক্যানিং ও ডকুমেন্ট প্রসেসিং ফি যুক্ত হলে প্রতিটি চালান থেকে যথেষ্ট রাজস্ব পাওয়া যায়। বছরে শত শত চালান হলে এটি রাষ্ট্রীয় তহবিলে বড় অবদান রাখতে সক্ষম, যা উন্নয়নমূলক কার্যক্রমে ব্যবহার করা যাবে।
বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার একটি উদীয়মান অর্থনীতি। আঞ্চলিক বাণিজ্য ও যোগাযোগ অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে দেশটি পূর্ব-পশ্চিম ও উত্তর-দক্ষিণ করিডোরে অপরিহার্য অবস্থান অর্জন করেছে। ট্রানজিট থেকে অর্জিত রাজস্ব কেবল আর্থিক লাভ নয়, এটি বাংলাদেশকে আঞ্চলিক লজিস্টিক হাবে পরিণত করার ক্ষেত্রে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ। সেবা প্রদানের ফলে বাংলাদেশের বন্দর ও কাস্টমস প্রশাসন আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী আধুনিকীকরণের চাপের মুখোমুখি হবে, যা দীর্ঘমেয়াদে স্বদেশী আমদানি-রফতানি খাতেও সহায়ক হবে।
বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান দীর্ঘদিন আঞ্চলিক বাণিজ্যের জন্য সম্ভাবনাময় হলেও পূর্ণরূপে ব্যবহার হয়নি। ভুটানের সাথে ট্রানজিট কার্যক্রম শুরু হওয়ায় এই সম্ভাবনা এখন বাস্তব রূপ নিচ্ছে। এর প্রভাব শুধু রাজস্ব আয়েই সীমাবদ্ধ নয়, বরং লজিস্টিক, বন্দর, সড়ক, প্রশাসন ও বাণিজ্য খাত বহুস্তরে উপকার হবে। চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহারে বন্দর কর্তৃপক্ষের আয় বাড়বে। কার্গো হ্যান্ডলিং, ওয়্যারহাউজিং, কাস্টমস ক্লিয়ারিং ও পরিবহন খাতে দেশীয় কোম্পানির কাজের সুযোগ বাড়বে, যা নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সহায়ক। চট্টগ্রাম-বুড়িমারী ৬৮৪ কিলোমিটার রুট ব্যবহারে ট্রাক, পেট্রোল-ডিজেল বিক্রেতা, মেরামতকারী ও নিরাপত্তা সেবা উপকৃত হবে। সড়ক টোল ও করিডোর ফি দীর্ঘমেয়াদে নতুন মহাসড়ক নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণ সহজ করবে।
ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সাত রাজ্য, নেপাল ও ভুটান বাংলাদেশের সমুদ্রে প্রবেশের সুযোগ পেলে আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ, ওয়্যারহাউজিং, কোল্ড স্টোরেজ ও করিডোর নির্মাণে বিদেশীদের আগ্রহ বাড়বে। রফতানি খাতে নতুন সম্ভাবনা তৈরি করবে, বিশেষ করে খাদ্যপণ্য, ওষুধ, ইলেকট্রনিক্স, নির্মাণসামগ্রী, টেক্সটাইল ও পরিবেশবান্ধব পণ্যের ক্ষেত্রে। প্রশাসনিক ও প্রযুক্তিগত সক্ষমতাও বাড়বে। কাস্টমস আধুনিকীকরণ, ডিজিটাল ডকুমেন্টেশন, রিয়েল-টাইম ট্র্যাকিং ও সীমান্ত ব্যবস্থাপনা উন্নত হয়ে বাংলাদেশের রফতানি-আমদানি আরো দ্রুত ও স্বচ্ছ হবে। ছোট ও মাঝারি ব্যবসায় (এসএমই) খাতও উপকৃত হবে; হোটেল, রেস্টুরেন্ট, যাত্রী-সুবিধা কেন্দ্র, মোটরসার্ভিস বিকশিত হবে। দেশের বিভিন্ন স্থানে ট্রানজিট-নির্ভর ক্ষুদ্র ব্যবসার প্রসার ঘটবে।
ভুটানের সাথে ট্রানজিট সম্পর্ক কেবল বাণিজ্য নয়, কূটনীতিতেও বাংলাদেশের অবস্থান শক্ত করবে। ল্যান্ডলকড দেশের জন্য প্রধান বাণিজ্যিক রুট হিসেবে বাংলাদেশের গ্রহণযোগ্যতা আঞ্চলিক সংহতি ও সম্মান বৃদ্ধি করবে। SAARC, BIMSTEC , BCIM করিডোরে বাংলাদেশের ভ‚মিকা আরো গুরুত্বপূর্ণ হবে। বাংলাদেশ ভুটান থেকে উচ্চমানের কৃষিপণ্য, পাথর, কাঠ, দুগ্ধজাত পণ্য সরাসরি আমদানি করতে পারবে। একইভাবে বাংলাদেশের রেডিমেট গার্মেন্টস, ফার্মাসিউটিক্যালস, খাদ্যদ্রব্য, ইলেকট্রনিকস ও অন্যান্য শিল্প পণ্য ভুটানের বাজারে সহজে প্রবেশ করতে পারবে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে ভুটানের জৈব ও পাহাড়ি কৃষিপ্রযুক্তি, পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা ও হাইড্রোপাওয়ার অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের হাওর, পাহাড়ি ও উপকূলীয় অঞ্চলে গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা ও প্রযুক্তি উৎস হিসেবে কাজ করবে।
ভুটান ও ভারতের সাথে ত্রিপক্ষীয় সহযোগিতা বাংলাদেশের কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক অবস্থান সংহত করবে। পর্যটন, সাংস্কৃতিক বিনিময় ও বেসরকারি বিনিয়োগের ক্ষেত্রও প্রসার পাবে। ভবিষ্যতে চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর ব্যবহার করে নেপাল, ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্য এবং মিয়ানমার পর্যন্ত বাণিজ্য করিডোর সম্প্রসারণের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এর সফলতা মূলত কাঠামোগত, প্রশাসনিক, নিরাপত্তা ও ভূরাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার ওপর নির্ভর করবে।
বাংলাদেশের ভ‚খণ্ড ব্যবহার করে ভুটানের পণ্য পরিবহন চট্টগ্রাম বন্দর থেকে বুড়িমারী স্থলবন্দর পর্যন্ত ৬৮৪ কিলোমিটার সড়কপথে হবে। সুতরাং সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো সড়ক অবকাঠামোর সক্ষমতা। চট্টগ্রাম থেকে উত্তরবঙ্গ পর্যন্ত অনেক মহাসড়ক এখনো দুই লেন বা আংশিক সংস্কারের আওতায় রয়েছে। ভারী ট্রানজিট ট্রাক চলাচলের ফলে সড়কে চাপ ও রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় বাড়বে এবং যানজট সৃষ্টি হবে। বন্দর ও স্থলবন্দরগুলোর কাগজপত্র যাচাই, স্ক্যানিং ও নিরাপত্তা আনুষ্ঠানিকতার কারণে সময় নষ্ট হলে ভুটানের জন্য ‘টাইম-সেন্সিটিভ’ ডেলিভারি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
তাই বাংলাদেশকে রিস্ক ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম, ডিজিটাল ট্র্যাকিং ও ই-কার্গো ম্যানিফেস্টোর মতো আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার বাড়াতে হবে। পণ্য ভারত হয়ে বাংলাদেশের ভ‚খণ্ড পাড়ি দেবে, ফলে ত্রিপক্ষীয় সমন্বয় নিশ্চিত করতে হবে। জিপিএস ট্র্যাকিং, রুট অডিটিং এবং স্থানীয় প্রশাসনের সাথে সমন্বয় বজায় রাখা অপরিহার্য, বিশেষ করে রাতে ট্রানজিট চলাচলের সময়। ভ‚-রাজনৈতিক সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ যেমন ভারত-চীন প্রতিদ্বন্দ্বিতা, নেপাল-ভুটান-বাংলাদেশ সীমান্ত সম্পর্ক এবং আঞ্চলিক জলবায়ু সঙ্কট করিডোর ব্যবস্থায় প্রভাব ফেলতে পারে। অতিরিক্ত ফি ভুটানকে বিকল্প পথ খুঁজতে বাধ্য করতে পারে। তাই ফি কাঠামোকে ‘ব্যবসায়বান্ধব ও পূর্বানুমানযোগ্য’ রাখা জরুরি।
এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য প্রস্তাবিত পদক্ষেপগুলোর মধ্যে রয়েছে কেন্দ্রীয় সমন্বিত কর্তৃপক্ষ গঠন, যা কাস্টমস, সড়ক পরিবহন, বন্দর ও নিরাপত্তা সংস্থার মধ্যে সমন্বয় করবে; মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ অংশে দ্রুত চার লেন উন্নয়ন, রক্ষণাবেক্ষণ ও বিকল্প রুট নিশ্চিত করা; চট্টগ্রাম বন্দরে অটোমেশন, স্ক্যানিং, ডিজিটাল ডকুমেন্টেশন এবং দ্রুত কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স ব্যবস্থা উন্নয়ন করা; নিরাপত্তা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হিসেবে নিশ্চিত করতে জিপিএসভিত্তিক মনিটরিং, ডিজিটাল ট্র্যাকিং ও বিশেষ রুট ব্যবস্থা করা; ভুটানের সাথে যৌথ অর্থনৈতিক কমিশন গঠন ইত্যাদি।
নেপাল ও ভুটানের মতো স্থলবেষ্টিত দেশগুলো দীর্ঘদিন ধরে সমুদ্রবন্দর নির্ভরতার কারণে বাণিজ্য ব্যয়, পরিবহন সময় এবং প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে ছিল। বাংলাদেশের উদার নীতি, করিডোর প্রদানের ইচ্ছা ও আঞ্চলিক সংযোগ বাড়ানোর উদ্যোগ দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও মুক্ত বাণিজ্যের জন্য একটি মডেল হিসেবে কাজ করবে।
বাংলাদেশের জন্য সম্ভাবনা স্পষ্ট। এটি আঞ্চলিক কানেক্টিভিটি হাব হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার সুযোগ দিচ্ছে। বন্দর ব্যবহার, সড়কপথ, ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা ও করিডোর পরিচালনার মাধ্যমে নতুন রাজস্ব, বিনিয়োগ, লজিস্টিক উন্নয়ন এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে। ভুটানের বাজারে বাংলাদেশের শিল্পপণ্যের প্রবেশ সহজ হবে, বাণিজ্য ঘাটতি কমবে।
চট্টগ্রাম-বুড়িমারী ট্রানজিট করিডোর বাংলাদেশের অর্থনীতি, কূটনীতি ও আঞ্চলিক সংযোগের নতুন যুগের সূচনা। যথাযথ নীতি বাস্তবায়ন, অবকাঠামো উন্নয়ন এবং স্থিতিশীল কূটনৈতিক সম্পর্ক বজায় রাখলে করিডোরটি শুধু বাংলাদেশ ও ভুটানের জন্য নয়, দক্ষিণ এশিয়ার বাণিজ্য ব্যবস্থার গতিও ত্বরান্বিত করবে। সঠিক নীতি ও সমন্বয়ে এই করিডোর বাংলাদেশের অর্থনীতি ও দক্ষিণ এশিয়ার কানেক্টিভিটিকে নতুন মাত্রা দিতে পারে এবং ভবিষ্যতে বাংলাদেশ ‘রিজিওনাল ইকোনমিক করিডোরে’ উন্নীত হতে পারে।
লেখক : অর্থনীতিবিদ, গবেষক ও কলামিস্ট