সময়ের কণ্ঠস্বর – শিক্ষার্থীর জন্য পরীক্ষার আগের রাত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পরীক্ষার আগের রাতে একেবারেই দুশ্চিন্তা করা যাবে না। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পড়াশোনা শেষ করে ঘুমাতে যাওয়া উচিত। কেননা, রাতে ঘুম ভালো হলে মাথা ফ্রেশ থাকে। আর ভালো লেখার জন্য অবশ্যই ফ্রেশ থাকা জরুরি। ঘুমাতে যাওয়ার আগে পরীক্ষার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও জিনিসপত্র যেমন- স্কেল, প্রবেশপত্র, পেনবক্স ইত্যাদি গুছিয়ে রাখতে হবে। বিশেষত প্রবেশপত্র।
কেউ যদি চায় পরীক্ষার আগের রাতে পড়ে, তাহলে সর্বোচ্চ ১০ থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত রাত জাগতে পারে। প্রয়োজনবোধে বেশি রাত না জেগে তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়ে পরের দিন ভোরবেলা থেকে পড়া শুরু করা যেতে পারে। এটাই বরং ভালো। কেননা, আগের রাতে ভালো ঘুম পরবর্তী পরীক্ষায় ভালো করার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তাছাড়া পরীক্ষার দিন সকালে দ্রুত পড়াশোনা শেষ করে হাতে একটু বেশি সময় নিয়েই পরীক্ষা কেন্দ্রের উদ্দেশ্যে বের হওয়া উচিত। কেননা, পথে বা কেন্দ্রে সমস্যা হতে পারে। বিশেষত, যারা ঢাকার পরীক্ষার্থী তাদের জন্য তো এটি অবশ্যই করণীয়। অন্যান্য দিনের চেয়ে এদিন রাস্তায় যানজট একটু বেশি হয়। ফলে পথেই অনেক সময় ব্যয় হয়। প্রত্যেক ছাত্রছাত্রীর উচিত পরীক্ষার আগের দিন পরীক্ষা কেন্দ্রে একবার ঘুরে আসা। অনেক সময় দেখা যায়, পরীক্ষার কেন্দ্র না চেনার কারণে পরীক্ষার হলে দেরি করে পৌঁছাতে হয়। তাই পরীক্ষার আগে কেন্দ্র থেকে একবার ঘুরে এলে এই ভয় আর হয় না। পরীক্ষার হলে করণীয় প্রত্যেক পরীক্ষার্থীর উচিত পরীক্ষা কেন্দ্রে নির্ধারিত সময়ের ৩০ মিনিট আগেই যাওয়া। এরপর ধীরে-সুস্থে নিজের আসন খুঁজে কিছুক্ষণ মাথা ঠাণ্ডা করে বসা।
তারপর যখন খাতা আসবে, তখন না ঘাবড়িয়ে ঠাণ্ডা মাথায় অত্যন্ত সতর্কভাবে প্রবেশপত্র ও নিবন্ধনপত্রের সঙ্গে হুবহু মিল রেখে রোল নম্বর বা রেজিস্ট্রেশন নম্বর ইত্যাদি কালো বলপয়েন্ট দিয়ে পূরণ করা। পরীক্ষার্থী যদি পরীক্ষার সময় অতিরিক্ত কোনো খাতা নেয়, তাহলে অবশ্যই তাকে ওই অতিরিক্ত খাতাটি মূল খাতার সঙ্গে সংযুক্ত করতে হবে। এ ক্ষেত্রে সে অতিরিক্ত খাতার সিরিয়াল ঠিক রাখার জন্য অতিরিক্ত প্রতিটি খাতার ওপরে ক্রমিক নম্বর লিখে নিতে পারে। এতে তার খাতা সাজাতে সুবিধা হবে।
যে কোনো পরীক্ষা নিয়েই কিছুটা উদ্বেগ বা চিন্তা থাকাটা স্বাভাবিক। এই চিন্তাই পরীক্ষার জন্য যথাযথ প্রস্তুতি নেয়ার মূল চালিকাশক্তি। পরীক্ষা নিয়ে যার কোনো ভাবনাই নেই, সে তো প্রস্তুতিই নেবে না ঠিকভাবে। কিন্তু পরীক্ষার এই ভাবনাই যখন স্বাভাবিকতার সীমা অতিক্রম করে চরম দুর্ভাবনা আর অতিরিক্ত উদ্বেগে রূপ নেয়, পরীক্ষা ব্যাপারটি হয়ে দাঁড়ায় ভীতিকর বিষয়, মানসিক চাপ বিপর্যস্ত করে তোলে পরীক্ষার্থীকে- সেটা উল্টো পরীক্ষার প্রস্তুতি বা পারফরম্যান্সের জন্য হয়ে দাঁড়ায় নেতিবাচক। পরীক্ষাজনিত উদ্বেগে আক্রান্ত শিক্ষার্থীরা আবেগজনিত সমস্যায় ভোগে। তারা চরম অসহায়ত্ব, ক্রোধ, ভয় বা হতাশাবোধ করে। মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়, আত্মবিশ্বাস কমে যায়। অনেকে বিষণ্নতায় ভুগতে পারে। পড়াশোনায় মনোযোগ কমে যায়, অস্থির ভাবনারা ছুটোছুটি করতে থাকে মনের ভেতর, একই পড়া বার বার পড়লেও মনে থাকে না, মাঝে মাঝে মাথার ভেতরটা শূন্য মনে হয়। প্রভাব পড়ে শরীরের ওপরও। বার বার মুখ শুকিয়ে যাওয়া, বুক ধড়ফড় করা, খাবারে অরুচি, অনিদ্রা, বমি বমি ভাব, পাতলা পায়খানা, মাথাব্যথা, শরীরের তাপমাত্রার পরিবর্তন, অতিরিক্ত ঘাম, মাথা ঘোরানো, শ্বাস নিতে কষ্ট প্রভৃতি নানান উপসর্গ দেখা যায়, এমনকি মাঝে মাঝে অজ্ঞানও হয়ে যায় শিক্ষার্থী। ভীতির কারণে শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকে। পরীক্ষার আগে প্রস্তুতি পর্বে যেমন এ পরীক্ষাভীতিতে আক্রান্ত হতে পারে শিক্ষার্থী, তেমনি এসব উপসর্গ বা লক্ষণ দেখা যেতে পারে পরীক্ষার হলে ঢোকার বা প্রশ্নপত্র হাতে পাওয়ার পরও।
শুধু পারিপার্শ্বিকতার চাপই নয়, শিক্ষার্থী নিজেও তার পরীক্ষাভীতির কারণ হতে পারে। সারা বছর যথাযথভাবে পড়াশোনা না করলে শেষ সময়ে এই বিশাল পরিমাণ পড়া আয়ত্তে আনতে গিয়ে ভীতি জাগাই স্বাভাবিক। আগে পরীক্ষায় খারাপ করার ইতিহাস থাকলে পরবর্তী কোন পরীক্ষার আগে সেই খারাপ ফলাফলের চিন্তা বার বার মনে এসে যেতে পারে। এ ছাড়া অনেকের ব্যক্তিত্বই এমনভাবে গড়ে ওঠে যে, যেকোনো বিষয়েই তারা অহেতুক উদ্বেগ বা ভীতিতে আক্রান্ত হয়, সব বিষয় নেতিবাচকভাবে গ্রহণ করে, আত্মবিশ্বাসহীনতায় ভোগে সব সময়ই। এমন ব্যক্তিত্বের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষাজনিত উদ্বেগ ও ভীতিতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি।
পরীক্ষা নিয়ে অহেতুক উদ্বেগ থেকে মুক্তি পেতে প্রয়োজন যথাযথ প্রস্তুতি। নিয়মিত পড়াশোনায় নিজেকে পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত করলে আত্মবিশ্বাসী থাকা যায়। এর সাথে খেয়াল রাখতে হবে আরো কিছু প্রয়োজনীয় বিষয়। রুটিনমাফিক পড়াশোনা করতে হবে। পড়াশোনার জন্য উপযুক্ত নির্দিষ্ট সময় ভাগ করে নিতে হবে। দিনরাত টানা পড়াশোনা করা উচিত নয়। মস্তিষ্কেরও বিশ্রাম প্রয়োজন। তাই পড়ার মাঝে মাঝে বিরতি দিতে হবে মস্তিষ্ককে সচল রাখার স্বার্থেই। লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য শুধু পড়লেই হবে না। সময় ধরে উত্তর লেখার চর্চা করতে হবে। সুযোগ হলে অন্যের সাথে আলোচনা করে পড়া যেতে পারে, অন্যের পড়াশোনা এবং পঠিত বিষয় নিয়ে আলোচনা পড়া মনে রাখতে সহায়তা করে।
কিছুটা সময় রাখতে হবে সুস্থ বিনোদনের জন্যও। বিশ্রাম-বিনোদনহীন একঘেয়ে পড়াশোনা মস্তিষ্ককে ক্লান্ত করে তোলে, একটা সময় শুধু বই নিয়ে বসে থাকাই সার হয, পড়া মাথায় ঢোকে না কিছুই।
নিয়মিত সুষম খাবার গ্রহণ করতে হবে। মস্তিষ্ককে সুস্থ ও কার্যকর রাখার জন্য শাকসবজি, ফল, দুধ, ডিম খাওয়া যেতে পারে। চাঙ্গা থাকার জন্য অনেকেই অতিরিক্ত চা-কফি পান করে এ সময়। অতিরিক্ত চা-কফি নিদ্রাহীনতা, কোষ্ঠকাঠিন্য প্রভৃতি সমস্যার সৃষ্টি করে। কফির ভেতরকার ক্যাফেইন অতিরিক্ত মাত্রায় শরীরে প্রবেশ করলে তা চিন্তাশক্তিকে বাধাগ্রস্ত করে। তাই অতিরিক্ত চা-কফি এড়িয়ে চলতে হবে।
অনেক ক্ষেত্রে পরীক্ষাভীতি ও মানসিক অস্থিরতা কমাতে ওষুধের প্রয়োজন হতে পারে। তবে নিজের ইচ্ছামতো বা বন্ধুর উপদেশে ওষুধ খাওয়া বিপদের কারণ হতে পারে। অবশ্যই এ ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
পরীক্ষার হলে ঢোকার আগে নতুন কোন বিষয় পড়তে যাওয়া ঠিক নয়। এ সময় অন্য শিক্ষার্থী বা বন্ধুবান্ধবদের প্রস্তুতি কেমন, কে কী পড়েছে, প্রশ্ন কেমন কঠিন হতে পারে এসব বিষয় আলোচনা বা এ সংক্রান্ত চিন্তা-ভাবনা করা উচিত হবে না। এসব কাজ পরীক্ষা সংক্রান্ত উদ্বেগ বাড়িয়ে তোলে।
খুব বেশি টেনশন বা উদ্বেগ হলে পরীক্ষার হলে ঢোকার আগে, প্রশ্নপত্র হাতে পাওয়ার অপেক্ষায় বসে থাকার সময়টায় বা উত্তর লেখা শুরু করার আগে ধীরে লম্বা, গভীর করে কয়েকবার শ্বাস নেয়া যেতে পারে। সহজ এই কাজটি উদ্বিগ্ন ব্যক্তিকে রিল্যাক্সড হতে সাহায্য করে।
কঠিন প্রশ্ন দেখে ঘাবড়ে যাওয়া চলবে না। কঠিন প্রশ্নগুলো নিয়ে ভেবে সময় নষ্ট না করে যেসব প্রশ্নের উত্তর দান সহজতর, সেগুলোর দিকে মনোযোগ দিতে হবে। কঠিন প্রশ্নগুলোর উত্তর দিতে হবে শেষদিকে। ইতোমধ্যে বাকি প্রশ্নগুলোর উত্তর দেয়া হয়ে যাওয়ায় আত্মবিশ্বাস বাড়বে, মস্তিষ্কও কার্যকর থাকবে পুরোদমে, ফলে উত্তর লেখাটা সহজ হবে। পরীক্ষার হলে নিজের খাতার ওপর পূর্ণ মনোযোগ রাখতে হবে। অন্যরা কী করছে, কেমন দ্রুতগতিতে লিখছে, কে কত আগে কতগুলো অতিরিক্ত পৃষ্ঠা নিলো এসব ব্যাপারে মনোযোগ দেয়ার দরকার নেই।
এক বিষয়ের পরীক্ষা শেষে কী কী ভুল হলো তা বন্ধুদের সাথে মিলিয়ে বের করার প্রয়োজন নেই। কারণ, যা লিখে আসা হয়েছে, পরীক্ষা শেষে তা আর পরিবর্তন করা সম্ভব নয়। সুতরাং, বাড়ি ফিরে পরবর্তী বিষয়ের প্রস্তুতিতে মনোযোগ দেয়াই মঙ্গল।
পরীক্ষাভীতি কাটাতে বাবা-মাই হতে পারেন শিক্ষার্থীর সবচেয়ে বড় সহায়। সন্তানকে সময় দিন, তার কথা মনোযোগ দিয়ে শুনুন, দুর্বলতা-ভীতি কাটিয়ে নিজের ওপর বিশ্বাস ফিরিয়ে আনতে তাকে উৎসাহ দিন, সহায়তা করুন। সন্তানের যোগ্যতা সম্পর্কে সঠিক ধারণা নিন। সেই মতো প্রত্যাশা করুন, ভালো করতে তাকে সহযোগিতা করুন। কিন্তু অতি-প্রত্যাশার বোঝা ঘাড়ে চাপিয়ে নয়। বারবার সন্তানের নেতিবাচক সমালোচনা ও অন্যের সাথে তুলনা করবেন না। এতে তার আত্মবিশ্বাস কমে যায়। ইতিবাচক থাকুন। সন্তানকেও ইতিবাচকভাবে ভাবতে শেখান। এক বিষয়ের পরীক্ষার পর সেই বিষয়ে কী কী ভুল করলো, সেসব খুঁটিয়ে বের না করে পরবর্তী পরীক্ষার প্রস্তুতিতে মনোযোগ দিতে সাহায্য করুন।
পরীক্ষা জীবনের স্বাভাবিক এবং বলা যায় অবিচ্ছেদ্য অংশ। চলমান জীবনের ধাপে ধাপে কোন না কোন ভাবে পরীক্ষার সম্মুখীন হতে হয় আমাদের। নিজের ওপর আস্থা নিয়ে, ইতিবাচক থেকে, মানসিক চাপ দূরে রেখে স্বাভাবিকভাবে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে, তাহলেই প্রস্তুতির যথাযথ প্রতিফলন ঘটানো যাবে পরীক্ষার খাতায়।
মনে রেখ, পরীক্ষার হলে তোমার খাতাটিই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তোমার জানা যাবতীয় বিষয় ওই খাতায় প্রশ্নের উত্তরের মাধ্যমে দিতে হবে। তাই পরীক্ষার খাতার বিষয়ে খুবই যত্নশীল হতে হবে। প্রথম পাতায় রোল নম্বর, রেজি. নম্বর, বিষয় কোডের বৃত্ত সঠিকভাবে ভরাট করবে। নৈর্ব্যক্তিক পরীক্ষায় সেট কোডের বৃত্ত অবশ্যই সঠিকভাবে ভরাট করতে হবে। খাতার কোথাও যেন কালির দাগ না পড়ে।
সুন্দর হাতের লেখা একটি সম্পদ। আবার হাতের লেখা সুন্দর হলেও যদি স্পষ্ট ও পরিচ্ছন্ন না হয় তবে নম্বরও কম ওঠে। তাই শব্দের এবং লাইনের মধ্যে ফাঁক রেখে পরিচ্ছন্ন করে লিখতে হবে। যাতে সহজে পড়া যায়। কোনো শব্দ, লাইন বা অনুচ্ছেদ কেটে দিতে হলে হিজিবিজি করে নয় এক টানে পরিষ্কার করে কাটতে হবে। ভুল শব্দ বা বাক্যাংশের ওপর লিখে সংশোধন করলে খাতাটি নোংরা হয়ে ওঠে তাই এটি কখনই করবে না। এক্ষেত্রে কেটে দিয়ে পাশে ঠিক শব্দ বসাবে।
প্রশ্ন পাওয়ার পর বাছাইয়ের কাজটি সঠিকভাবে করা জরুরি। কোন প্রশ্নের উত্তর লিখবে আর কোন প্রশ্নটা বাদ দিলে সুবিধা তা তোমাকে প্রথমেই নির্বাচন করতে হবে। বেখেয়ালে কোনো প্রশ্ন বাদ রেখে এলে কি না, অথবা প্রশ্নের ভেতরের ছোট অংশগুলোর উত্তর দেওয়া বাদ গেল কি না সে বিষয়ে খুবই সাবধান থাকবে।
সময় ধরে প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর দিবে। প্রতিটি বিষয়ের বড় প্রশ্ন ও সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের জন্যে কতটুকু সময় দিতে পারবে, তার হিসাব আগে থেকেই করে নেবে। কোনো প্রশ্নের উত্তর ভালোভাবে জানা থাকলে নির্ধারিত সময়ের আগেই লিখে শেষ করবে এতে করে যে সময় বাঁচবে তা অন্য প্রশ্নের উত্তরে কাজে লাগবে। দেখা গেল একটি প্রশ্নের উত্তরদানে অনেক বেশি সময় খরচ করে ফেললে পরে সময়ের অভাবে দু-একটি প্রশ্নের উত্তর দিতে পারলে না বা দায়সারাভাবে উত্তর দিলে। এতে বেশ ক্ষতি হয়। বেশি সময় দিয়ে কোনো প্রশ্নের দু-এক নম্বর বাড়তি জুটলেও সময়ের অভাবে পাঁচ-ছয় নম্বর নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই ভালোজানা প্রশ্নের উত্তরদানে সময় বাঁচাতে পারলে, সে সময়টি এক্ষেত্রে কাজে দিবে।প্রশ্নের নম্বরটি বাঁ দিকে নির্ভুলভাবে অবশ্যই বসাবে। একটি প্রশ্নের মধ্যে নানা অংশ থাকতে পারে। পৃথক প্রশ্নের উত্তর পৃথক অনুচ্ছেদে লেখা উচিত। আবার অনেক প্রশ্নেই (ক), (খ) অংশ থাকে। এক্ষেত্রে সেভাবে (ক), (খ) নম্বর লিখে তবেই উত্তর দেবে। যেমন : ১নং প্রশ্নের ‘ক’ এর উত্তর।
উত্তরের সময় বানান অনেকেই ভুল করে। কাজেই সতর্কতা দরকার। যেসব বানান সচরাচর ভুল হয় সেগুলো বেশি করে অনুশীলন দরকার। বিখ্যাত আর পরিচিত নামের বানান যেন ঠিক থাকে। কবিদের নামের বানান ভুল করলে পরীক্ষক বিরক্ত হবেন। এতে তোমার নম্বরও কমে যেতে পারে। তোমার পাঠ্যবইয়ের গদ্য, সহপাঠের নাম এবং লেখকের নাম যেন ভুল না হয়।
একটি প্রশ্নের সব অংশ জানা না থাকলেও কোনো প্রশ্নের উত্তর ছেড়ে আসবে না। না পারলেও যতটা পারা যায় চেষ্টা করে লিখে আসবে। কোনো কোনো প্রশ্নের মধ্যে নানা অংশ থাকে। তার কোনো অংশ যেন বাদ না যায়।
পরীক্ষায় রিভিশন দেয়ার জন্যে অবশ্যই সময় রাখবে। যদি সময় করে পুরো খাতার রিভিশন করা যায়, খুব ভালো হয়। বেশ কিছু ভুল তাতে সেরে নেয়া যাবে। গণিতের ক্ষেত্রে এ রকম রিভিশন অবশ্যই জরুরি। কারণ সামান্য একটি অক্ষর বা সংখ্যার জন্যে সম্পূর্ণ নম্বরই কাটা যেতে পারে।
প্রিয় এসএসসি পরীক্ষার্থীরা। তোমরা নিয়মিত অনুশীলন করে যাও দেখবে সাফল্য ধরা দেবেই। এ সময়টা তোমাদের জন্যে খুবই জরুরি তাই মানসিকভাবে তোমাদের অনেক শক্ত থাকতে হবে। ভালো ফলাফলের জন্যে বেশ কিছু বিষয় তোমাদের খেয়াল রাখতে হবে।
আর একটি বিষয় সবসময় মনে রাখতে হবে, সিলেবাস অনুযায়ী সব অংশই শিখতে হবে। সিলেবাস অনুসারে পরীক্ষার প্রস্তুতি শেষ করার চেষ্টা করতে হবে। এতেই ফলাফল ভালো হবে।
এই বিভাগের সর্বাধিক পঠিত কিছু খবর