শিশুর বয়স অনুযায়ী উচ্চতা বাড়ছে না চিন্তার ভাঁজ পড়েছে কপালে, আর্টিফিশিয়াল ওষুধ অথবা বিভিন্ন কমার্শিয়াল বার্লি ড্রিংকস না খাইয়ে ন্যাচারাল খাবার বাচ্চার উচ্চতা বাড়াবে হনহনিয়ে।
শিশুর পুষ্টির চাহিদার দিকে সব অভিভাবকই কড়া দৃষ্টি রাখেন। কোনোভাবে যাতে তাদের পুষ্টির চাহিদার ঘাটতি না হয়। এ সময় উচ্চতা ঠিকঠাক না বাড়লে বাবা-মায়ের মনে চিন্তার ঢেউ ওঠে। তারা ঠিকঠাক বুঝতে পারেন না কোন কোন নিয়ম মেনে চললে সন্তানের ওজন বাড়ানো সম্ভব হবে।
শিশুর পুষ্টির চাহিদার দিকে সব অভিভাবকই কড়া দৃষ্টি রাখেন। কোনোভাবে যাতে তাদের পুষ্টির চাহিদার ঘাটতি না হয়। এ সময় উচ্চতা ঠিকঠাক না বাড়লে বাবা-মায়ের মনে চিন্তার ঢেউ ওঠে। তারা ঠিকঠাক বুঝতে পারেন না কোন কোন নিয়ম মেনে চললে সন্তানের ওজন বাড়ানো সম্ভব হবে।
তাই তারা যেখানেই যা দেখেন বা শোনেন, তাই সন্তানের ওপর প্রয়োগ করেন। আর তাতে বাড়ে যত সমস্যা।
আজকের প্রতিবেদনে তুলে ধরা হলো পাঁটি মহৌষধি খাবার, যেগুলো সন্তানের ডায়েটে জায়গা করে দিলেই পাবেন উপকার। তাতেই সন্তানের উচ্চতা বাড়বে।
প্রথমত, সন্তানদের উচ্চতা বাড়াতে চাইলে নিয়মিতভাবে হোল (পূর্ণ শস্য) জাতীয় খাবার দেওয়া উচিত। এই ধরনের খাবারে ভিটামিন-বি, ফাইবার, আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম এবং সেলেনিয়ামের মতো গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি রয়েছে। পাশাপাশি, এদের মধ্যে পাওয়া ক্যালোরির পরিমাণও শিশুর শক্তি ও বৃদ্ধি বৃদ্ধিতে সহায়ক।
দ্বিতীয়ত, দুধ ও দুগ্ধজাত খান্দ আপনাদের শিশুর খাদ্য তালিকায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। যদি শিশুর ল্যাকটোজ-অসহনশীলতা না থাকে, তাহলে গরুর দুধ তার উচ্চতা বৃদ্ধিতে কার্যকর। এছাড়া, দুধ থেকে তৈরি পনির, দই, ছানা প্রভৃতি থেকেও পুষ্টি পাওয়া যায়, যা শিশুর হাড় গঠন এবং ক্যালসিয়াম গ্রহণে সহায়ক।
তৃতীয়ত, ডিম একাধিক পুষ্টি উপাদানে ভরপুর। এতে রয়েছে উচ্চমানের প্রোটিন, বিশেষ করে ডিমের সাদা অংশে। কুসুমে ভিটামিন-বি২ (রাইবোফ্লাভিন) থাকে, যা উচ্চতা বাড়াতে সহায়ক বলে বিবেচিত।
চতুর্থত, সয়াবিন শিশুর খাদ্যতালিকায় একটি গুরুত্বপূর্ণ নিরামিষ উৎস। সয়াবিনে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকার কারণে এটি হাড় ও পেশির বিকাশে সহায়তা করে। এছাড়াও, এতে কিছু ক্যালসিয়ামও আছে — যা শিশুর উচ্চতা বাড়াতে অবদান রাখে।
পঞ্চমত, শাকসবজি শিশুর বিকাশে অনেক উপকারী। যেমন পালং শাক, মেথি, বাঁধাকপি ইত্যাদিতে ভিটামিন-সি, ভিটামিন-কে, আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম এবং ক্যালসিয়ামের মতো গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি থাকে। এসব উপাদান হাড়ের গঠন ও দৈহিক বৃদ্ধি উভয়ের জন্যই অপরিহার্য।
এছাড়াও আরও যেসব খাবার সহায়ক হতে পারে তার কিছু উল্লেখ করলাম
ফল: মিষ্টি আলু, আম, পেঁপে, কলা ও আপেল সহ ভিটামিন-এ, ডি সমৃদ্ধ ফলগুলো শিশুর উচ্চতা বাড়াতে সহায়ক।
চিকেন ও ডিম: মুরগির মাংস ও ডিমে প্রচুর প্রোটিন রয়েছে, যা হাড় ও পেশি গঠনে কার্যকরী।
বাদাম: বাদাম (কাঠবাদাম, আখরোট, কাজুবাদাম, পেস্তা) ভিটামিন-ই, ফাইবার, ম্যাগনেশিয়াম ও ক্যালসিয়ামের ভালো উৎস, যা হাড় ও মস্তিষ্ক উভয় বিকাশে সহায়তা করে।
খাবারের ধরন পুষ্টিগুণ এবং উপকারিতা
হোল গ্রেইন ভিটামিন-বি, ফাইবার, আয়রন ইত্যাদি; শক্তি ও বৃদ্ধি উভয়ের জন্য
দুগ্ধজাত খাবার ক্যালসিয়াম-সমৃদ্ধ; হাড় গঠনে সহায়ক
ডিম প্রোটিন, ভিটামিন-বি২; উচ্চতা ও পেশিশক্তিতে সহায়তা করে
সয়াবিন গুরুত্বপূর্ণ প্রোটিন ও কিছু ক্যালসিয়াম; হাড় ও পেশি উন্নয়নে কার্যকর
শাকসবজি আয়রন, ভিটামিন-সি,-কে, ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালসিয়াম; হাড় গঠনে গুরুত্বপূর্ণ
অতিরিক্তে, ফল, বাদাম ও মুরগির মাংসও শিশুর পুষ্টি ও উচ্চতার বৃদ্ধি নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।