জিততে হলে ওভারপ্রতি ন্যূনতম ৮ রান করে তুলতে হবে। এমন পরিস্থিতে ব্যাটসম্যানদের একটু চালিয়ে খেলাই স্বাভাবিক। চিটাগং ভাইকিংসের ১৬০/৫ রান তাড়া করতে নেমে ঠিক এমন ব্যাটিংই করেছেন খুলনা টাইটানসের ওপেনার রাইলি রুশো। তাঁর ২৬ বলে ৪৯ রানের ইনিংস শুরুতেই ঠিক করে দিয়েছে খুলনার গতিপথ। মাহমুদউল্লাহ বাকি কাজটুকু সারলেও ম্যাচসেরা সেই রুশোই।
খুলনার ইনিংসের দ্বিতীয় বলে চিটাগংয়ের স্পিনার সিকান্দার রাজাকে ছক্কা মেরে শুরু করেন রুশো। এরপর বাজে বল পেলেই জ্বলে উঠেছে তাঁর ব্যাট। অন্য প্রান্তে তাঁর সতীর্থ মাইকেল কিলিঙ্গার দ্বিতীয় ওভারে বিদায় নিলেও রুশোর স্ট্রোক-প্লে থামেনি। তৃতীয় ওভারে তাসকিনকে দুটি বাউন্ডারি মারেন তিনি। পরের ওভারে সানজামুল ইসলামকে পিটিয়েছেন বেধড়ক। দুটি ছক্কা আর একটি বাউন্ডারি তুলে নেন রুশো। মাঝে একবার ‘জীবন’ও পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তাঁর স্ট্যাম্পিং হাতছাড়া করেন চিটাগং উইকেটরক্ষক লুক রনকি।
৬.৫ ওভারে রুশো যখন আউট হন, খুলনার স্কোর তখন ৩ উইকেটে ৬০ রান। এর মধ্যে রুশোর একার অবদানই ৪৯! মাত্র ১ রানের জন্য হাফ সেঞ্চুরি না পেলেও তাঁর এ ইনিংসটি বুঝিয়ে দেয়, আউট হওয়ার আগ পর্যন্ত দলকে একাই টেনেছেন রুশো।