আগেও দুবার খেলেছেন ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে। তবে বদলি হিসেবে নেমে সেই দুবার নিজেকে চেনানোর সুযোগ পেয়েছিলেন কমই। প্রথমবার একাদশে সুযোগ পেয়েই নিজেকে মেলে ধরলেন আর্জেন্টাইন অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার ক্লদিও এচেভেরি।
ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপে বাংলাদেশ সময় সোমবার সকালে আটলান্টায় আল-আইনকে ৬-০ গোলে উড়িয়ে দেওয়ার ম্যাচে দ্বিতীয় গোলটি করেন এচেভেরি। প্রথমার্ধে তার সেই ফ্রি-কিক গোল নজর কাড়ে ফুটবলপ্রেমীদের।
কৈশরে রিভার প্লেটে খেলার সময় ‘নতুন মেসি’ তকমা পাওয়া এচেভেরি এদিন অবশ্য পুরোটা সময় খেলার সুযোগ পাননি। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুর দিকে মাঠ ছাড়েন গোড়ালির চোট নিয়ে। তবে যেটুকু সময় মাঠে ছিলেন মনে করিয়ে দিয়েছেন কেন তাকে তুলনা করা হয় মেসির সঙ্গে।
ম্যাচে ১৭ বার বল স্পর্শ করে ১১টি পাস দিয়েছেন তিনি, যার মধ্যে ১০টি সফল। সব মিলিয়ে ৯১ শতাংশ পাস সফল দিয়েছেন এচেভেরি। ২৭তম মিনিটে তার ফ্রি-কিক গোলটি ছিল দুই দিন আগে লিওনেল মেসির করা ফ্রি-কিক গোলের মতোই।
ডান পাশের ওপরের কোনা ঘেঁষে তাঁর নেওয়া দুর্দান্ত শটটি থামানোর জন্য আল–আইন গোলরক্ষক জায়গা থেকে নড়ার সুযোগও পাননি। মুহূর্তের মধ্যে বল জড়ায় জালে আর সিটির হয়ে নিজের প্রথম গোলের উদ্যাপনে মেতে ওঠেন এচেভেরি। দুদিন আগে প্রায় একই জায়গা থেকে ফ্রি–কিকে গোল করে মুগ্ধতা ছড়িয়েছিলেন মেসিও।
ম্যাচ শেষে ১৯ বছর বয়সী এচেভেরিকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন সিটি কোচ পেপ গুয়ার্দিওলা। স্প্যানিশ কোচ বলেন তার ফ্রি-কিক গোল নিয়েও।
‘গত মৌসুমে সে আসার পর তিন-চার মাস ধরে অনুশীলন সেশনের শেষে সে একাই গোলরক্ষক ও দেয়াল নিয়ে ফ্রি-কিক প্র্যাকটিস করত। অন্যরা সেটা করত না। সে অনুশীলনের পর অনুশীলন করে গেছে, যার ফলও পেয়েছে। তার মধ্যে প্রতিভা ও সাহস দুটোই আছে। আর আপনি যখন অনুশীলন করবেন তবে এটা গলফ বা বাস্কেটবলের মতো মনে হবে। যত বেশি অনুশীলন করবেন, আপনার সম্ভাবনা ততই বাড়বে। গোলটা অসাধারণ ছিল। সে অবিশ্বাস্য একজন খেলোয়াড়।’
আসরে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ওয়াইদাদ এসিকে ২-০ গোলে হারিয়েছিল সিটি। সেই ম্যাচের একাদশের কাউকে এদিন মাঠে নামাননি কোচ। অবভিজ্ঞ একাদশ নিয়েই ‘জি’ গ্রুপে বিশাল বড় জয়ে পরের ধাপে পৌঁছে গেছে সিটি।
ওয়াইদাদ এসিকে ৪-১ গোলে হারিয়ে এই গ্রুপ থেকে নকআউট নিশ্চিত করেছে ইউভেন্তুসও। গ্রুপের সেরা নির্ধারণে বৃহস্পতিবার তাদের মুখোমুখি হবে সিটি।