বুধবার সকালে উত্তর কলকাতায় বিজেপির রাজ্য দপ্তরে বিভিন্ন জেলা থেকে হাজির হন কয়েক শ দলীয় কর্মী। তাঁরা রাজ্য নেতৃত্বের বিরুদ্ধে স্লোগান দেওয়ার পাশাপাশি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের ছবিতে আগুনও দেন। তাঁদের বক্তব্য ছিল তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে ‘সেটিং’ (যোগসাজশ) করে নির্বাচন লড়ছে বিজেপি। জেলা স্তরে উপযুক্ত প্রার্থীকে মনোনয়ন না দিয়ে নেতৃত্ব নিজেদের খেয়ালখুশিমতো প্রার্থী দিয়েছে। এর ব্যাখ্যা চান দলীয় কর্মীরা। 

এ ধরনের ঘটনার পরেও পশ্চিমবঙ্গে লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির ভালো ফল করার সম্ভাবনা রয়েছে। এর প্রধান কারণ ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পর তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ১৩ বছরের ক্ষমতাসীন-বিরোধিতার (অ্যান্টি-ইনকামবেন্সি) হাওয়া। শীর্ষ স্তরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা দলের জাতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেকের নানা সিদ্ধান্ত নিয়ে মধ্যনেতৃত্বের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে। 

কিন্তু তৃণমূলের বড় সমস্যা পাড়া, গ্রাম, পঞ্চায়েত বা ব্লক পর্যায় স্থানীয় স্তরের নেতাদের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের ক্ষোভ। তৃণমূলের স্থানীয় নেতাদের বিরুদ্ধে এই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ দেখা গেছে উত্তর চব্বিশ পরগনার সন্দেশখালীতে। এ ঘটনা সম্পর্কে সম্প্রতি বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের একটি নিরপেক্ষ রিপোর্ট বলছে, অভিযোগের যথেষ্ট ভিত্তি রয়েছে।

ওই দলের তরফে শুভপ্রতিম রায়চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘জমি লুট ও ব্যাপক নির্যাতনের বিরুদ্ধে মানুষের প্রতিরোধ আন্দোলন স্বতঃস্ফূর্ত ছিল, বিরোধী দল হিসেবে বিজেপি সেখানে মানুষের ক্ষোভকে পুঁজি করেছে এবং তার নীতি অনুযায়ী সাম্প্রদায়িক রং ও রূপ দিয়েছে।’

মাঠপর্যায়ে সাধারণ মানুষের ওপরে রাজনৈতিক দলের মদদপুষ্ট ‘দাদা’দের অত্যাচার দক্ষিণ এশিয়ার বড় সমস্যা। এতে মানুষের ক্ষোভ বাড়ে। ক্ষোভের এই সুবিধা বিজেপি এবার পশ্চিমবঙ্গে পাবে। এর জেরে গতবারের ১৮ আসন এবং ৪০ দশমিক ৭ শতাংশের রেকর্ড তারা ভাঙতে পারে কি না, সেটা বোঝা যাবে ৪ জুন যখন ফল ঘোষণা করা হবে।



Contact
reader@banginews.com

Bangi News app আপনাকে দিবে এক অভাবনীয় অভিজ্ঞতা যা আপনি কাগজের সংবাদপত্রে পাবেন না। আপনি শুধু খবর পড়বেন তাই নয়, আপনি পঞ্চ ইন্দ্রিয় দিয়ে উপভোগও করবেন। বিশ্বাস না হলে আজই ডাউনলোড করুন। এটি সম্পূর্ণ ফ্রি।

Follow @banginews