দেশে ডিভোর্সের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাচ্চাদের কাস্টডি বা হেফাজত বিষয়ক দ্বন্দ্বও বেড়েই চলেছে। বাবা-মায়ের মধ্যে সন্তানকে কার কাছে রাখা হবে তা নিয়ে ব্যাপক সংশয় দেখা দেয়। এই বিষয়কে সামনে রেখে আইনজীবী এডভোকেট মোহাম্মদ জাকির হোসাইন লিগাল সাপোর্ট বাংলাদেশ চ্যানেলের মাধ্যমে সম্প্রতি বাচ্চার কাস্টডি নিয়ম ও আইনি দিকগুলি ব্যাখ্যা করেছেন।

বাংলাদেশের বর্তমান কাস্টডি আইনের আলোকে সাত বছরের নিচে ছেলে সন্তানকে মায়ের কাছেই রাখা হয়। এ সময় বাবার কাছে বাচ্চা থাকেনা, তবে বাবা দেখতে পারার অধিকার পেতে পারেন। মেয়েদের ক্ষেত্রে বয়স অর্ধবাল্য (১৮ বছর) পর্যন্ত মায়ের হেফাজতে রাখা হয়। তবে মামলার মাধ্যমে বাবা-মা উভয়ই কাস্টডির জন্য আবেদন করতে পারেন এবং আদালত বাচ্চার কল্যাণ বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত দেন।

আইনজীবী মোহাম্মদ জাকির হোসাইন জানান, “বাচ্চার কল্যাণ সব সময় প্রধান বিবেচ্য বিষয়। বাবা-মায়ের সেপারেশন হলেও সন্তান যেন মা-বাবার ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত না হয়, সেদিকে নজর রাখতে হবে।”

তিনি আরও বলেন, “যদি মা-বাবার মধ্যে যোগাযোগ বিঘ্নিত হয় এবং বাবা বাচ্চাকে দেখতে না পারেন, তাহলে তারা পারিবারিক কোর্টে কাস্টডি মামলা করে সন্তান দেখা ও খোঁজ করার অনুমতি নিতে পারেন। এ ক্ষেত্রে আদালত ইন্টারিম অর্ডারের মাধ্যমে বাবা-মায়ের মাঝে সন্তান দেখার সময় নির্ধারণ করেন।”

বিচ্ছেদের পরও সন্তানদের মানসিক সুস্থতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য বাবা-মায়ের মধ্যে সমঝোতা জরুরি। এই দিকটি গুরুত্ব দিয়ে মোহাম্মদ জাকির হোসাইন সবাইকে পরামর্শ দেন, “সন্তানকে নিয়ে কখনো ব্যবসা করবেন না, তাদের ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত করবেন না।”

বাংলাদেশের rapidly changing সামাজিক কাঠামোর মধ্যে সন্তানদের নিরাপদ ও সুরক্ষিত রাখার বিষয়টি এখন অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ। তাই বাবা-মায়ের সমঝোতা এবং আইনগত জ্ঞান সবার জন্য অপরিহার্য বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

এসএফ

তথ্যসূত্র:ভিডিও



Contact
reader@banginews.com

Bangi News app আপনাকে দিবে এক অভাবনীয় অভিজ্ঞতা যা আপনি কাগজের সংবাদপত্রে পাবেন না। আপনি শুধু খবর পড়বেন তাই নয়, আপনি পঞ্চ ইন্দ্রিয় দিয়ে উপভোগও করবেন। বিশ্বাস না হলে আজই ডাউনলোড করুন। এটি সম্পূর্ণ ফ্রি।

Follow @banginews