তীব্র গরম ও তাপপ্রবাহে জনজীবন বিপর্যস্ত। কোথাও যেন স্বস্তি মিলছে না। অধিকাংশরা আক্রান্ত হচ্ছেন ফুড পয়জনিং, ডায়েরিয়াসহ নানা রোগ ব্যাধিতে। এমন তাপপ্রবাহের দিনগুলোতে নিয়মিত ডিটক্স ওয়াটার পান করা উচিত বলে মনে করেন পুষ্টিবিদরা। কেননা ডিটক্স ওয়াটার শরীর থেকে সব বিষাক্ত পদার্থ দূর করে শরীরকে বিষমুক্ত করে। এতে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। বাড়তি মেদ ঝরে। এমনকি খাবার হজমেও সাহায্য করে এ পানীয়।
আর-রাহা হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনষ্টিকস লিমিটেডের ক্লিনিক্যাল ডায়েটিশিয়ান ইতি খন্দকার জানান, শরীরকে হাইড্রেট রাখতে এবং শরীরের অভ্যন্তরীণ দূষিত উপাদান বের করতে পানির সঙ্গে প্রাকৃতিক উপাদান মিশ্রিত করে যে ধরনের পানি গ্রহণ করা হয়, মূলত সে পানিই হচ্ছে ইনফিউজড বা ডিটক্স ওয়াটার। ডিটক্স ওয়াটার তৈরিতে ফল, সবজি ও মসলা ব্যবহার করা হয়। ডিটক্স পানি পানে খুব দ্রুত শরীরের ১০-১২ কেজি ওজন কমে যাবে, বিষয়টি এমন নয়। নিয়মিত এ পানি পান করলে শরীর বিষমুক্ত থাকবে। একইসঙ্গে ধীরে ধীরে মেদ ঝরবে।
যেভাবে ঘরেই বানাবেন ডিটক্স ওয়াটার
১. শরীর ঠান্ডা রাখতে ঘরেই লেবু ও পুদিনা পাতা দিয়ে বানিয়ে নিন ডিটক্স ওয়াটার। লেবু শরীরকে ঠান্ডা এবং ত্বককে প্রাণবন্ত রাখতে সহায়তা করে। পুদিনা পাতাও স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। পুদিনা পাতা ও লেবু মিশ্রিত এ পানীয় ওজন কমাতে সাহায্য করবে। পাশাপাশি হজম বাড়াবে এবং শরীর ঠান্ডা রাখবে।
২. ফ্রিজে শসা থাকলে তা দিয়েই এই গরমে বানিয়ে নিন ডিটক্স ওয়াটার। শসায় আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি, পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম। এ উপাদানে আছে শরীরকে বিষমুক্ত করার ক্ষমতা। শসার ডিটক্স ওয়াটার মেদ ঝরতে এবং ক্ষুধা কমাতে সাহায্য করে।
৩. এই গরমে শরীরে শক্তি পেতে কমলা ও মাল্টা দিয়ে তৈরি ডিটক্স ওয়াটার পান করুন। কমলা ও মাল্টায় আছে প্রচুর ভিটামিন সি, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। একইসঙ্গে ত্বকও সতেজ রাখে।
শসা, লেবু, পুদিনা পাতা কিংবা যেকোনো ফল দিয়ে বানানো ডিটক্স ওয়াটার স্টিল কিংবা কাঁচের জারে বানাবেন। প্লাস্টিকের জারে না বানানোই ভালো। ডিটক্স ওয়াটার একসঙ্গে অনেক পরিমাণে না পান করে অল্প অল্প করে সারাদিন পান করুন। বানানোর পর ডিটক্স ওয়াটার ফ্রিজে রেখে দিন। নয়তো বেশিক্ষণ বাইরে রাখলে খাওয়ার অনুপযোগী হয়ে যেতে পারে।