লেনদেনের খরাতেও চাঙ্গা বীমা খাত



  • সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ গত সপ্তাহজুড়ে দেশের শেয়ারবাজারে অব্যাহত ছিল দরপতন ও লেনদেন খরা। এতে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান মূল্যসূচক কমেছে প্রায় দুই শতাংশ। বাজারে লেনদেন কমেছে ২২ শতাংশের ওপরে। তবে মন্দাবাজারে লেনদেনের ক্ষেত্রে দাপট দেখিয়েছে বীমা খাত। ডিএসইর খাতভিত্তিক লেনদেন পর্যালোচনা করে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

লেনদেনের শীর্ষস্থান দখল করলেও গত সপ্তাহে বীমা খাতের লেনদেনের পরিমাণ কমেছে। আগের সপ্তাহের তুলনায় ডিএসইতে বীমা খাতের শেয়ার লেনদেন প্রতি কার্যদিবসে গড়ে কমেছে ৩০ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। বীমা খাতের লেনদেন কমার নেতিবাচক প্রভাব ডিএসইর মোট লেনদেনেও পড়েছে। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে প্রতি কার্যদিবসে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৩২৭ কোটি ৩৫ লাখ টাকা, যা আগের সপ্তাহ থেকে ৯৫ কোটি ২২ লাখ টাকা বা ২২ দশমিক ৫৩ শতাংশ কম। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয় ৪২২ কোটি ৫৭ লাখ টাকা।

গত সপ্তাহজুড়ে শীর্ষে থাকা বীমা খাতের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৩১৭ কোটি ৩০ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৬৩ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতি কার্যদিবসে গড়ে লেনদেন হয় ৯৪ কোটি ১১ লাখ টাকা। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ওষুধ খাতের শেয়ার প্রতিদিন ৩৪ কোটি ৫ লাখ টাকা গড়ে মোট লেনদেন হয়েছে ১৭০ কোটি ২৫ লাখ টাকা। তৃতীয় স্থানে রয়েছে প্রকৌশল খাত। প্রতিদিন ৩২ কোটি ৯২ লাখ টাকা গড়ে মোট লেনদেন হয়েছে ১৬৪ কোটি ৬০ লাখ টাকা। এছাড়া বস্ত্র খাতে ৩০ কোটি ৭৫ লাখ টাকা, বিদ্যুত ও জ্বালানি খাতে ২২ কোটি ১০ লাখ, চামড়া খাতে ২১ কোটি ৬১ লাখ, ব্যাংক খাতে ২১ কোটি ১৮ লাখ, মিউচুয়াল ফান্ড খাতে ২০ কোটি ৬৮ লাখ, বিবিধ খাতে ১৮ কোটি ৯৪ লাখ, ভ্রমণ ও অবকাশ খাতে ১১ কোটি ৪৭ লাখ এবং টেলিকমিউনিকেশন খাতে ১০ কোটি ১৬ লাখ টাকা করে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছে। বাকি খাতগুলোর এককভাবে গড় লেনদেন হয়েছে ১০ কোটি টাকার কম। এর মধ্যে খাদ্য খাতে ৯ কোটি ২৮ লাখ টাকা, আর্থিক খাতে ৯ কোটি ২৩ লাখ, সিরামিক খাতে ৬ কোটি ৫৯ লাখ, তথ্য ও প্রযুক্তি খাতে ৪ কোটি ৩৭ লাখ, সিমেন্ট খাতে ২ কোটি ৭০ লাখ, সেবা ও আবাসন খাতে ২ কোটি ৬ লাখ, পেপার ও প্রিন্টিং খাতে ১ কোটি ২৬ লাখ এবং পাট খাতে ৬৩ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে।

গত সপ্তাহে ৫ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ১ হাজার ৬৩৬ কোটি ৭৭ লাখ ২৮ হাজার ৭৯৬ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের সপ্তাহ থেকে ৪৭৬ কোটি ১০ লাখ ২৫ হাজার ২৪২ টাকা বা ২২.৫৩ শতাংশ কমে। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ১১২ কোটি ৮৭ লাখ ৫৪ হাজার ৩৮ টাকার লেনদেন হয়েছিল।

ডিএসইতে গত সপ্তাহে গড় লেনদেন হয়েছে ৩২৭ কোটি ৩৫ লাখ ৪৫ হাজার ৭৫৯ টাকার। আগের সপ্তাহে গড় লেনদেন হয়েছিল ৪২২ কোটি ৫৭ লাখ ৫০ হাজার ৮০৭ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে গড় লেনদেন ৯৫ কোটি ২২ লাখ ৫ হাজার ৪৮ টাকা কমেছে।

সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৯১ পয়েন্ট বা ১.৭৫ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ১৩০ পয়েন্টে। অপর সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১৮ পয়েন্ট বা ১.৫৪ শতাংশ এবং ডিএসই-৩০ সূচক ২৮ পয়েন্ট বা ১.৫১ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১১৭৬ ও ১৮২৯ পয়েন্টে।

ডিএসইতে গত সপ্তাহে ৩৫৪ প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ৬৬টির বা ১৮ শতাংশের, কমেছে ২৭৩টির বা ৭৭ শতাংশের এবং ১৫টির বা ৫ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত রয়েছে।





Contact
reader@banginews.com

Bangi News app আপনাকে দিবে এক অভাবনীয় অভিজ্ঞতা যা আপনি কাগজের সংবাদপত্রে পাবেন না। আপনি শুধু খবর পড়বেন তাই নয়, আপনি পঞ্চ ইন্দ্রিয় দিয়ে উপভোগও করবেন। বিশ্বাস না হলে আজই ডাউনলোড করুন। এটি সম্পূর্ণ ফ্রি।

Follow @banginews