প্রায় দেড় বছর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তালা ঝুলছে। লকডাউন শুরুর কিছুদিন পর অনলাইনে শিক্ষার কার্যক্রম সচল রাখার কথা বলা হলেও কার্যত কিছুদিনের মধ্যেই সেই ব্যবস্থা মুখ থুবড়ে পড়ে। তথ্যপ্রযুক্তির অপ্রতুলতাকেই অনেকে এর জন্য দায়ী করে থাকেন। তবে আমি এর সঙ্গে পুরোপুরি একমত নই। শিক্ষার্থীরা ফেসবুক চালাতে পারলে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয় থাকতে পারলে, অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চালু রাখায় সমস্যা কোথায়?
আমেরিকায় লকডাউন চলাকালে সব ধরনের শিক্ষা কার্যক্রম অনলাইনভিত্তিক করে দেওয়া হয় এবং এখন তা পুরোপুরি সচল আছে। আগামী ফল সেমিস্টার থেকে শতভাগ ইন-পারসন ক্লাস শুরু হবে। অনেকেই বলতে পারেন, আমেরিকা উন্নত দেশ ও শিক্ষা খাতে প্রচুর বরাদ্দ থাকার কারণে তাদের পক্ষে সম্ভব হলেও আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। কথাটির সঙ্গেও আমি একমত হতে অপারগ।