সংসদীয় গণতন্ত্র সব দেশে সংখ্যাগরিষ্ঠতা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। এটা মেনে নিয়ে আমাদের এগোতে হবে। নতুবা প্রেসিডেনশিয়াল পদ্ধতি হলো বিকল্প। দুই কক্ষ করে কোনোভাবে স্বেচ্ছাচারী সরকার ঠেকানো যাবে না।
আমাদের দেশে অনেকবারই একনায়ক বা স্বেচ্ছাচারী সরকার এসেছে। প্রতিবারই তা হয়েছে দল বা নেতাদের স্বেচ্ছাচারিতায়; সিস্টেমের ঘাটতি বা উচ্চ কক্ষের অনুপস্থিতির জন্য নয়।
আমাদের দেশে সংসদীয় গণতন্ত্র কোনোভাবেই সফল হতে পারছে না। প্রতিবারই কোনো না কোনোভাবে নির্বাচন হয়। সংসদ গঠিত হয়; কিন্তু শৃঙ্খলা ও নিয়মতান্ত্রিকতা ফিরে আসছে না। নিয়ন্ত্রিত গণতন্ত্র বা স্বেচ্ছাচারী বৃত্তে সরকার অদলবদল হচ্ছিল। বর্তমান সরকার আসার পর এর কারণ ও তার নিরাময়ের পথ খোঁজা হচ্ছে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন কারণটা সম্ভবত খুঁজে পেয়েছে। আমরা যাদের কাছ থেকে সংসদীয় গণতন্ত্র শিখেছি, সেই ব্রিটিশদের দেশে ওয়েস্টমিনস্টার সিস্টেমে আছে দুটি কক্ষ। একটি উচ্চকক্ষ ও অপরটি নিম্নকক্ষ। উচ্চকক্ষ হলো হাউস অব লর্ডস এবং নিম্নকক্ষ হলো পার্লামেন্ট।