গতকাল শুক্রবার চরম অমানবিক এক ঘটনা ঘটেছে ভারতের হরিয়ানার গুরগাঁওয়ে। এক তরুণকে গো-মাংস রাখার সন্দেহে কিছু উগ্র জনতা উন্মাদের মতো মারধর করে। গণপিটুনির শিকার লোকমান হোসেন নামের ওই মুসলিম যুবককে বাঁচাতে এগিয়ে আসেনি পুলিশও। সামনে থাকা সত্ত্বেও নীরব দর্শক হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন পুলিশ সদস্যরা।
দেশটির স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, প্রায় আট কিলোমিটার রাস্তা ধাওয়া করে একটি পিক-আপ ভ্যানকে আটকায় উগ্র জনতা। তার পর গাড়ি থেকে এক যুবককে নামিয়ে মারধর শুরু করে তারা। সেই তরুণের কোনো কথাই তারা শোনেনি। সব থেকে অবাক করা ব্যাপার হলো মারধরের সময় লোকজন ভিড় করে সব দেখল। এমনকি কেউ কেউ মোবাইলে ভিডিও করলেন, তবে সাহায্যে এগিয়ে এলেন না।
লোকমান হোসেনকে মারার সময় পুলিশ ওই গাড়িতে থাকা মাংস ল্যাব টেস্টের জন্য পাঠাতে উদ্যোগী হয়। ওই মুসলিম যুবককে শুধু রাস্তায় মেরেই ক্ষ্যান্ত হয়নি তারা। স্থানীয় এক গ্রামে নিয়ে দ্বিতীয় দফায় মেরে আধমরা করা হয়। গাড়ির মালিক জানিয়েছেন, গরু নয়, মহিষের মাংস ছিল গাড়িতে। গত কয়েক বছর ধরে তিনি এই ব্যবসা করেন।
পুলিশ পরে বুঝতে পারে, ব্যাপারটা বাড়াবাড়ি হয়ে গেছে। তখন অজ্ঞাতপরিচর ব্যক্তিদের নামে এফআইআর দায়ের করে। যদিও ভিডিওতে সবার মুখই স্পষ্ট ছিল। তবুও পুলিশ দোষীদের খুঁজে পাচ্ছে না। এখনো কেউ গ্রেপ্তার হয়নি বলে জানা যায় দেশটির স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে।
সূত্র : এনডিটিভি, জি নিউজ।