বরিশালের বাবুগঞ্জে মেলা ও যাত্রার প্যান্ডেল ভাঙচুর করে অগ্নিসংযোগ করার খবর পাওয়া গেছে।
গত শুক্রবার (১৩ জুন) রাত ৯টার দিকে উপজেলার কেদারপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড বোয়ালিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা কেদারপুর ইউনিয়নের বোয়ালিয়া গ্রামে পহেলা বৈশাখ নামে মেলা শুরু হয়। মাসব্যাপী বৈশাখী মেলা শুরু হওয়ায় সেখানে সার্কাস ও পুতুল নাচের নামে অশ্লীল নৃত্য ও রাতভর জুয়ার আসর পরিচালনার অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ রয়েছে, সেখানে যাত্রার আড়ালে রাতভর বিভিন্ন প্রকার জুয়া খেলাসহ দেহ ব্যবসার মতো জঘন্য ঘটনাও ঘটেছে। মেলা বন্ধের দাবিতে ইসলামী আন্দোলনসহ এলাকাবাসী মানববন্ধন ও প্রশাসনের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করলেও মেলা বন্ধ হয়নি। তারই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার এশার নামাজের পরে এলাকাবাসী ও তৌহিদি জনতার ব্যানারে কয়েক শ’ লোক মেলার প্যান্ডেলে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে।
কেদারপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মুসা আলী বলেন, দীর্ঘদিন যাবত বৈশাখী মেলার নাম করে ওই স্থানে নাচ গান হতো। এ নিয়ে এলাকার মানুষের মধ্যে একটা ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। শুক্রবার রাতে শতাধিক মানুষ লাঠি সোটা নিয়ে মেলা ভাঙচুর করে আগুন দিয়েছে।
মেলা কমিটির সভাপতি সাবেক ইউপি মেম্বার আব্দুল আলী বলেন, আগে বৈশাখী মেলা হয়েছিল। এরপর শুধুমাত্র গানের আয়োজন ছিল। ঈদ আনন্দ মেলার অনুমতি না পাওয়ায় দু’দিন আগে কমিটিই সব বন্ধ করে দিয়েছে। রাতে কিছু উচ্ছৃঙ্খল লোক এসে স্থাপনাগুলো ভাঙচুর করে অগ্নিসংযোগ করেছে।
মেলা কমিটি সাধারণ সম্পাদক ভুলু মিয়া বলেন, এশার নামাজের পরে মেলা প্যান্ডেল অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করেছে।
তবে কারা ভাঙচুর করেছে এ বিষয়ে কারো নাম বলতে তিনি রাজি হয়নি।
বাবুগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জহিরুল আলম বলেন, এলাকার কিছু লোকজন মেলায় হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে। খবর পেয়ে রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থল পাঠানো হয়েছিল, যেন কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে।
তিনি আরো বলেন, এ বিষয় থানায় কেউ অভিযোগ নিয়ে আসেনি। অভিযোগ আসলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।