দেশজুড়ে ওয়ালটন পণ্যের ব্যাপক চাহিদা। কিন্তু হাতে পর্যাপ্ত নগদ টাকা না থাকায় অনেকেই কিনতে পারছেন না। আর তাই কিস্তিতে ওয়ালটন পণ্য কেনা আরো সহজ করলো ওয়ালটন। এখন থেকে ওয়ালটন পণ্য কেনা যাবে সর্বোচ্চ ৩ বছরের কিস্তিতে। আজ রবিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানায় ওয়ালটন কর্তৃপক্ষ।
এর আগে সর্বোচ্চ ৩০ মাসের কিস্তিতে কেনা যেতো ওয়ালটনের বিভিন্ন পণ্য। কিস্তির মেয়াদ বাড়ানোর ফলে মাসিক কিস্তির পরিমাণ আরো কমে এসেছে। ১ লা জুন থেকে দেশজুড়ে ওয়ালটনের সকল প্লাজায় মিলছে এই কিস্তি সুবিধা।
মতিঝিলে ওয়ালটনের কনফারেন্স হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বিশেষ করে দেশের স্বল্প আয়ের মানুষ যাতে প্রযুক্তি পণ্যের সুবিধা ভোগ করতে পারেন সেজন্য কিস্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। স্বল্প আয়ের ক্রেতারা এখন অনেক কম টাকার কিস্তিতে ওয়ালটনের ফ্রিজ, টিভি, এয়ারকন্ডিশনারসহ বেশকিছু পণ্য কিনতে পারছেন। সহজতর করা হয়েছে কিস্তির শর্তও।
সংবাদ সম্মেলনে আরো বলা হয়, ওয়ালটনের লক্ষ্য দেশের সব শ্রেণি পেশার মানুষের ঘরে মান সম্পন্ন পণ্য পৌঁছে দেওয়া। বিশেষ করে স্বল্প আয়ের মানুষ যাতে ফ্রিজ, টিভি, এয়ারকন্ডিশনার, মোটরসাইকেল ইত্যাদি পণ্য ব্যবহার করতে পারে সে সুযোগ দিতেই এই উদ্যোগ। মোবাইল ফোন বাদে ওয়ালটন ব্র্যান্ডের সকল পণ্যের ক্ষেত্রে এই সুবিধা কার্যকর। তবে নূন্যতম সাড়ে ৮ হাজার টাকার পণ্য কিনলে কিস্তি প্রযোজ্য হবে। সেই সঙ্গে কিস্তির ক্ষেত্রে ওয়ালটনের নিজস্ব কিছু নীতিমালা রয়েছে। পরবর্তী সিদ্ধান্ত না নেওয়া পর্যন্ত এই সুবিধা বহাল থাকছে।
সম্মেলনে দাবি করা হয়, বর্তমানে দেশে ফ্রিজের একচেটিয়া বাজার ওয়ালটনের। বিশেষ করে বড় ডিপযুক্ত ওয়ালটন ফ্রিজের প্রতি ক্রেতাদের আগ্রহ সবচেয়ে বেশি। সাশ্রয়ী মূল্য, উচ্চমান, দেশব্যাপি বিস্তৃত সার্ভিস নেটওয়ার্ক এবং স্থানীয় আবহাওয়া উপযোগী করে দেশে তৈরি হওয়ায় ওয়ালটন পণ্যের চাহিদা দ্রুত বাড়ছে। এদিকে রোজা এবং ঈদ উপলক্ষে ফ্রিজের দামও কমেছে। গরম এবং রোজার কারণে ফ্রিজের বাজারও এখন চাঙ্গা। এ অবস্থায় দেশের মানুষের ক্রয় ক্ষমতা ও চাহিদার কথা বিবেচনা করে ওয়ালটন কিস্তির মেয়াদ বাড়ালো। ওয়ালটন ধারাবাহিকভাবে গ্রাহকদের বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ধরনের সুবিধা দিয়ে আসছে। ভবিষ্যতেও এ প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে।
ওয়ালটনের ফার্স্ট সিনিয়র অতিরিক্ত পরিচালক কামাল হোসেন বলেন, বাংলাদেশি ব্র্যান্ড হিসেবে ওয়ালটন দেশে-বিদেশে ব্যাপক সুনাম অর্জন করেছে, ক্রেতাদের আস্থার শীর্ষে পৌঁছেছে। ওয়ালটনের এসব নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের চাহিদাও ব্যাপক। কিন্তু উচ্চ আয়ের মানুষের হাতেও সব সময় নগদ টাকা থাকে না। তাছাড়া নিম্ন আয়ের ক্রেতারাও যাতে প্রযুক্তিপণ্যের সুবিধা ভোগ করতে পারেন সেই চেষ্টাই আমরা করছি। উৎপাদন এবং বিক্রি বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে ক্রেতাদের নতুন নতুন এসব সুবিধা দেয়া হচ্ছে।
প্লাজা ডেভেলপমেন্ট বিভাগের নির্বাহী পরিচালক ইভা রিজওয়ানা বলেন, এর আগে ৩০ মাসের কিস্তি সুবিধা ছিলো। তাতে ক্রেতাদের তরফ থেকে ব্যাপক সাড়া পেয়েছি। এ কারণে ক্রেতাদের আরো সুবিধার কথা চিন্তা করে সর্বোচ্চ ৩ বছরের মেয়াদে কিস্তি সুবিধা দেয়া হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, বিদেশি পণ্য হটিয়ে ওয়ালটন দেশের মানুষের আস্থা অর্জন করেছে। সেই আস্থার প্রতিদান দিতেই ঘরে ঘরে প্রযুক্তি পণ্য পৌঁছে দেয়ার অঙ্গীকার করছে ওয়ালটন।
জানা গেছে, ওয়ালটন ব্র্যান্ডের টিভি, ফ্রিজ, এসি, মোটরসাইকেল, জেনারেটর, হোম ও কিচেন এ্যাপ্লায়েন্সসহ অন্যান্য পণ্য নামমাত্র ডাউন পেমেন্ট দিয়ে এমআরপি মূল্যে ৬ মাসের কিস্তিতে কেনা যায়। এর বাইরে সর্বোচ্চ ৩ বছরের সহজ কিস্তিতে পণ্য কেনার সুযোগতো থাকছেই।