উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে জমির অপব্যবহার রোধে আরও সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, সড়ক অবকাঠামো নির্মাণে যেন কারও বাড়ি বা জমি অহেতুক ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। জমির অপব্যবহার করা যাবে না। অপ্রয়োজনীয় ব্যয় বিষয়েও সংশ্লিষ্টদের সতর্ক হতে বলেছেন তিনি। এ ছাড়া প্রকল্প টেকসই করার স্বার্থে নির্মাণে সক্ষমতা বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপরোক্ত নির্দেশনা দেন। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে বৈঠকে সংযুক্ত হন তিনি। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক, প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদ, পরিবেশ এবং বন ও জলবায়ুমন্ত্রী শাহাব উদ্দিন বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠক শেষে ব্রিফিং করেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। তিনি প্রকল্পের বিভিন্ন দিকের বিস্তারিত তুলে ধরেন। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত ব্রিফিংয়ে সংশ্লিষ্ট সচিবরাও প্রকল্পের বিভিন্ন বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন।

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা প্রসঙ্গে পরিকল্পনামন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের দেশে জমির পরিমাণ খুবই কম। এ জন্য জমির ব্যবহারে অপচয় রোধ করতে হবে। এ বিষয়ে অত্যন্ত সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। অনেকের হয়তো এক খণ্ডই জমি আছে। সেটা যেন অপ্রয়োজনে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। কারও বসত বাড়ির ক্ষতি যেন না হয়।

জামালপুর জেলার দিগপাইত-সরিষাবাড়ী-তারাকান্দি সড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ প্রকল্প প্রসঙ্গে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ৩৭৭ কোটি টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ। আগামী ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে প্রকল্পটির কাজ শেষ হওয়ার কথা।

এছাড়া মোট ৫টি প্রকল্প অনুমোদন হয়েছে একনেকে। এর মধ্যে একটি সংশোধনী, বাকি ৪টি নতুন প্রকল্প। এসব প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে এক হাজার ২৬৬ কোটি টাকা। এসব অর্থ সরকার নিজেই জোগান দেবে।

একনেকে অনুমোদিত অন্য প্রকল্পগুলো হচ্ছে, সীমান্তে বিজিবির আধুনিক ৭৩টি বর্ডার অবজারভেশন পোস্ট নির্মাণ। ২৩৪ কোটি টাকা ব্যয়ের এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। আটটি সরকারি শিশু পরিবারে ২৫ শয্যাবিশিষ্ট শান্তিনিবাস স্থাপন। ৭৪ কোটি টাকার এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে সমাজসেবা অধিদপ্তর। ৪০টি উপজেলায় ৪০টি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও চট্টগ্রামে একটি ইনস্টিটিউট অব মেরিন টেকনোলজি নির্মাণ। প্রথম সংশোধিত এ প্রকল্পটিতে নতুন করে ১৬৮ কোটি টাকা ব্যয় বাড়ানো হয়েছে। এতে মোট ব্যয় দাঁড়াল ৩৩৬ কোটি টাকা। সময় বাড়ানো হয়েছে ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত। এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো। এ ছাড়া ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ২৪৬ কোটি টাকা। মৎস্য অধিদপ্তর প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে।



Contact
reader@banginews.com

Bangi News app আপনাকে দিবে এক অভাবনীয় অভিজ্ঞতা যা আপনি কাগজের সংবাদপত্রে পাবেন না। আপনি শুধু খবর পড়বেন তাই নয়, আপনি পঞ্চ ইন্দ্রিয় দিয়ে উপভোগও করবেন। বিশ্বাস না হলে আজই ডাউনলোড করুন। এটি সম্পূর্ণ ফ্রি।

Follow @banginews