২৩ এপ্রিল কল্পনা চাকমা অপহরণ মামলাটি রাঙামাটির আদালতে খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। এ আদেশ প্রদানের মধ্য দিয়ে দীর্ঘ ২৮ বছর ধরে চলা মামলাটির যবনিকাপাত ঘটানো হলো। এ দীর্ঘসূত্রতার ধরন থেকে আমাদের এ কথা বুঝতে অসুবিধা হয়নি যে কল্পনা চাকমা অপহরণ মামলাটির পরিণতি শেষ পর্যন্ত এমন কিছুই হবে।
মামলা খারিজের মাধ্যমে এই অপহরণের সঙ্গে জড়িত অভিযুক্ত ব্যক্তিদের একপ্রকার দায়মুক্তি দিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে বিচারহীনতার সংস্কৃতির এক নতুন নজির তৈরি হলো। তাই বহুল আলোচিত এ অপহরণ মামলার পরিণতি থেকে আমাদের এই শিক্ষা নিতে হবে যে পাহাড়ে বিচারের বাণীকে আর নীরবে কাঁদতে দেওয়া যাবে না। কল্পনা চাকমা যত দিন রাজপথে ছিলেন, তত দিন অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন, তেমনি বর্তমান প্রজন্মের কল্পনাদেরও সেভাবে রুখে দাঁড়াতে হবে।
পরিবারের সদস্যদের সামনে থেকে জলজ্যান্ত একটা মানুষকে তুলে নিয়ে গিয়ে রাতের মধ্যে হাওয়া করে দিল, অথচ ২৮ বছরেও রাষ্ট্র সেই সব অপহরণকারীকে চিহ্নিত করতে পারল না! এ লজ্জা আর ব্যর্থতার দায় কার?