ইসির একাধিক সূত্র জানায়, গতকালের সভায় আলোচনার এক পর্যায়ে উঠে আসে মন্ত্রী-সংসদ সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে ভোটের পর একধরনের শাস্তির মুখে পড়তে হয়। ভোটের পর তাঁকে বদলি করে দেওয়া হয়। এ সময় একজন নির্বাচন কমিশনারও এই বক্তব্যের সঙ্গে একমত পোষণ করেন।
সূত্র জানায়, কিছু জায়গায় আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে পরিস্থিতি খারাপ হতে পারে বলে কেউ কেউ আশঙ্কা প্রকাশ করেন। বিএনপির নির্বাচনে না থাকার বিষয়টিও আলোচনায় আসে। এ ছাড়া নির্বাচনে কোথাও কোথাও সংঘাত হতে পারে-এমন আশঙ্কার কথাও বলেছেন মাঠ প্রশাসনের একাধিক কর্মকর্তা।
ইসি সূত্র জানায়, মাঠ প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনার পর সংসদ সদস্য ও মন্ত্রীদের প্রভাব বিস্তারের বিষয়টি নিয়ে অনানুষ্ঠানিক বৈঠক করে নির্বাচন কমিশন। এ বিষয়ে করণীয় নিয়ে সেখানে আলোচনা হয়। সংসদ সদস্যরা যাতে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের আচরণবিধি মেনে চলেন, সে নির্দেশনা দিতে অনুরোধ জানিয়ে জাতীয় সংসদের স্পিকারের কাছে চিঠি দেওয়া হতে পারে।
ইসি সচিবালয়ের সচিব মো. জাহাংগীর আলম প্রথম আলোকে বলেন, সংসদ সদস্য বা মন্ত্রীরা প্রভাব বিস্তার করছেন-এমন অভিযোগের কথা কেউ সভায় বলেননি। তবে কেউ কেউ আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, মন্ত্রীরা নির্বাচনী এলাকায় থাকলে একধরনের প্রভাব সৃষ্টি হতে পারে।