এই মৌসুমে নিজ মাঠে খুব ভালো সময় কাটছে না রিয়াল মাদ্রিদের। মঙ্গলবার চ্যাম্পিয়নস লিগে টটেনহ্যাম হটস্পারের বিপক্ষেও হাসতে পারলো না তারা। বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের রুখে দিয়েছে ইংল্যান্ডের ক্লাব। ১-১ গোলের ড্রয়ে স্পেন থেকে গুরুত্বপূর্ণ এক পয়েন্ট নিয়ে দেশে ফিরছে স্পাররা।
শীর্ষ দুই দলের লড়াই। সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে টানটান উত্তেজনাতে হয়েছিল শুরুটা। মাত্র ৩ মিনিটে রিয়ালের ডিবক্সের বাঁপ্রান্ত থেকে লক্ষ্যে শট নিতে চেয়েছিলেন ফার্নান্দো লরেন্তে। তার আগেই রাফায়েল ভারানে বল সরিয়ে দেন। দুই মিনিট পর একসঙ্গে দুটি সুযোগ নষ্ট করে রিয়াল। রোনালদোর বুলেটগতির হেড পোস্টে লেগে ফিরে আসে। বল পান করিম বেনজিমা, কিন্তু ফরাসি তারকার প্রথম প্রচেষ্টা চলে যায় গোলবারের পাশ দিয়ে।

আবারও দুই দল টানা সুযোগ পায় কিছুক্ষণের ব্যবধানে। ১৭ মিনিটে টটেনহ্যামের ডিবক্সে বল পেয়েও ব্যর্থ হন রোনালদো। তার নিচু শট গড়িয়ে গড়িয়ে গোলবারের পাশ দিয়ে চলে যায়। দুই মিনিট পর টটেনহ্যামের প্রথম কর্নার ঢুকে যেতে পারতো রিয়ালের জালে। কিন্তু কর্নার থেকে এরিকসেনের দুর্দান্ত শট নিচু হেডে লক্ষ্যভেদ করতে পারেননি হ্যারি কেন।

আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে সাজানো ম্যাচে এগিয়ে যায় টটেনহ্যাম। ২৮ মিনিটে অরিয়ের ডান উইং থেকে পেনাল্টি স্পটের দিকে বল পাঠান। গোলমুখের সামনে কেন বলে পা লাগাতে পারেননি, তবে রাফা ভারানে বল বিপদমুক্ত করতে গিয়ে নিজেদের জালে বল জড়ান। আত্মঘাতী গোলে এগিয়ে যায় ইউরোপ চ্যাম্পিয়নরা।

৩৭ মিনিটে লুকা মোডরিচের বাঁকানো ক্রসে সময়মতো বল লাগাতে না পারায় রিয়ালকে সমতায় ফেরানোর সুযোগ নষ্ট করেন বেনজিমা। অবশ্য সুযোগ সন্ধানী রিয়ালকে বেশিক্ষণ পিছিয়ে থাকতে হয়নি। ৪২ মিনিটে স্পারদের ডিবক্সে অরিয়েরে হালকা ট্যাকলের শিকার হয়ে পেনাল্টি আদায় করেন মোডরিচ। রোনালদো স্পটকিক নেন এবং লরিসকে পরাস্ত করে ডানদিক দিয়ে লক্ষ্যভেদ করেন।

বিরতির পর প্রথম ১০ মিনিট কোনও দল সুযোগ তৈরি করতে পারেনি। এরপর শুরু হয় রিয়ালের একের পর এক আক্রমণ। ৫৫ মিনিটে কাসেমিরোর ক্রসে একেবারে গোলমুখের সামনে বল পান বেনজিমা। তার সামনে কেবল বাধা ছিলেন লরিস, ফরাসি তারকার শট পা দিয়ে ঠেকিয়ে দেন স্পার গোলরক্ষক। ৬২ মিনিটে আবার পরীক্ষা দিয়ে উতরে যান লরিস। গোলমুখের দিকে ছুটে আসা রোনালদোর রকেটগতির শট ক্রসবারের উপর দিয়ে পাঠিয়ে দেন তিনি। ফিফার বর্ষসেরা ফুটবলার তিন মিনিট পর দুইজন ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে শট নেন, আবার লরিস দুর্দান্ত ডাইভে লক্ষ্যভ্রষ্ট করেন তাকে।

অন্য প্রান্তের গোলপোস্টের নিচে কেইলর নাভাস কম দুর্দান্ত ছিলেন না। ৭১ মিনিটে লরেন্তের পাস থেকে বল নিয়ে রিয়ালের ডিবক্সে ঢুকেছিলেন কেন। তার সামনে ছিলেন কেবল নাভাস, ইংলিশ ফরোয়ার্ডের মাটি কামড়ানো শট একহাতে প্রতিহত করে মাঠের বাইরে পাঠান কোস্টারিকান গোলরক্ষক।

দুই দলের গোলরক্ষকের বাধায় ও সুযোগ নষ্টের ম্যাচে আর কোনও দল দ্বিতীয় গোলের দেখা পায়নি। ‘এইচ’ গ্রুপে তিন ম্যাচ শেষে তাই সমান ৭ পয়েন্ট নিয়ে সেরা দুইয়ে থাকলো তারা। তবে শীর্ষস্থানে অদল বদল হয়েছে। রিয়ালকে দুইয়ে নামতে হয়েছে, আর শীর্ষে উঠেছে টটেনহ্যাম।

গ্রুপের অন্য ম্যাচে আপোয়েল নিকোশিয়ার মাঠে ১-১ গোলে ড্র করেছে বরুশিয়া ডর্টমুন্ড। টানা দুই হারের পর তৃতীয় ম্যাচে পয়েন্ট পেলো জার্মান জায়ান্টরা। দুই দলেরই সমান ১ পয়েন্ট।

বেসিকতাসের শতভাগ সফলতা

রাদামেল ফ্যালকাওয়ের গোলে এএস মোনাকো এগিয়ে গিয়েছিল নিজ মাঠে। কিন্তু টোসুনের জোড়া গোলে ফরাসি ক্লাবের মাঠ থেকে জয় ছিনিয়ে এনেছে বেসিকতাস। তারা টানা তৃতীয় ম্যাচটি জিতেছে ২-১ গোলে। এতে ‘জি’ গ্রুপে ৯ পয়েন্ট নিয়ে সবার উপরে বেসিকতাস। ৩-২ গোলে পোর্তোকে হারিয়ে ৪ পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বরে উঠে এসেছে লিপজিগ। 



Contact
reader@banginews.com

Bangi News app আপনাকে দিবে এক অভাবনীয় অভিজ্ঞতা যা আপনি কাগজের সংবাদপত্রে পাবেন না। আপনি শুধু খবর পড়বেন তাই নয়, আপনি পঞ্চ ইন্দ্রিয় দিয়ে উপভোগও করবেন। বিশ্বাস না হলে আজই ডাউনলোড করুন। এটি সম্পূর্ণ ফ্রি।

Follow @banginews