যদিও শ্রাবণ মাস, তাপমাত্রা কমেনি একটুও। বরং সারাদিনই ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে মানুষ গরমে অতিষ্ঠ। এই গরমে অনেকেই অসুস্থ হচ্ছেন, গরমের সব চেয়ে ভয়াবহ বিষয় হচ্ছে হিটস্ট্রোক।
তামান্না চৌধুরী বলেন-
হিট স্ট্রোকের লক্ষণ:
•
শরীর প্রচণ্ড ঘামতে শুরু করে আবার হঠাৎ করে ঘাম বন্ধ হয়ে যায়
•
নিঃশ্বাস দ্রুত হয়
•
নাড়ির অস্বাভাবিক স্পন্দন হওয়া অর্থাৎ হঠাৎ ক্ষীণ ও দ্রুত হয়
•
রক্তচাপ কমে যায়
•
প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যায়
•
হাত পা কাঁপা, শরীরে খিঁচুনি হয়
•
মাথা ঝিমঝিম করা
•
তীব্র মাথাব্যথা
•
ব্যবহারে অস্বাভাবিকতার প্রকাশ
•
কথা-বার্তায় অসংলগ্ন হওয়া।
স্ট্রোক হলে বা লক্ষণ দেখা দিলে:
•
হিট স্ট্রোকের লক্ষণ দেখা দিলেই প্রথমে শরীরের তাপ কমানোর জন্য ঠাণ্ডা বরফ পানি দিয়ে শরীর মুছে দিন
•
আক্রান্ত ব্যক্তিকে শীতল পরিবেশে নিয়ে আসুন
•
শরীরের কাপড় যথাসম্ভব খুলে নিন
•
প্রচুর ঠাণ্ডা পানি, ফলের শরবত অথবা স্যালাইন পান করতে দিন
•
হিট স্ট্রোক হয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেললে যত দ্রুত সম্ভব স্থানীয় হাসপাতালে নিতে হবে।
যেকোনো বয়সের মানুষের হিট স্ট্রোক হতে পারে। তবে, শিশু ও বৃদ্ধদের আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি। এছাড়াও যাদের শরীর খুব দুর্বল তারাও হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হতে পারেন।
হিটস্ট্রোক এড়াতে যা করবেন:
•
প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন।
•
সবরকম ফলের রস, ডাবের পানি, লেবুর সরবত, বেলের সরবত পান করুন।
•
রাস্তার পাশের খোলা কাটা ফল, শরবত খাওয়া ঠিক নয়, কারণ এতে ডায়রিয়া ও জন্ডিস হওয়ার সম্ভবনা থাকে।
•
খাদ্যতালিকায় সহজপাচ্য খাবার যেমন ভাত, টাটকা শাক সবজি, ভর্তা, ছোট মাছ, ডাল ইত্যাদি রাখুন।
•
অতিরিক্ত মশলা, ভাজাপোড়া, তৈলাক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন।
•
অতিরিক্ত গরমে যতটা সম্ভব বাইরের কাজ এড়িয়ে চলুন। রোদে বের হলে অবশ্যই ছাতা, রোদ চশমা ইত্যাদি ব্যবহার করুন।
•
গরম থেকে খানিকটা হলেও স্বস্তি পেতে সুতির ঢিলেঢালা পোশাক পরুন।
হিটস্ট্রোকে অনেক সময় বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে। এমন কী মৃত্যুও হতে পারে। তাই আমাদের গরমের এই সময়টায় সাবধানে থাকতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৬ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০১৮
এসআইএস