সাভার থানার এসআই মলয় কুমার সাহা বলেন, শনিবার রাতে তিনজনকের গ্রেপ্তারের পর তাদের জিজ্ঞাসাবাদে তারা এই তথ্য পেয়েছেন।
পর ২৮ ডিসেম্বর সাভারের জামসিং এলাকা থেকে ২০ বছর বয়সী টুকটুকির লাশ হাত-মুখ বাধা অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। স্বামীর সঙ্গে সাভার পৌর এলাকার বনপুকুর মহল্লায় থাকতেন তিনি।
মিল্লাত সাভার বাজার বাসস্ট্যান্ডে ফুটপাতে সবজি বেচেন। টুকটুকির বাবার বাড়ি সাতক্ষীরার তালা উপজেলায়।
লাশ উদ্ধারের পর পুলিশ বাদী হয়ে সাভার থানায় মামলা করে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মলয় কুমার সাহা বলেন, তদন্তে নেমে পুলিশ টুকটুকির মোবাইল ফোনের কললিস্টের সূত্র ধরে প্রথমে জনী (২৪) নামে একজনকে এবং পরে অন্য দুইজনকে গ্রেপ্তার করে।
জনী সাভারের জামসিং এলাকার আব্দুল জলিলের ছেলে।
গ্রেপ্তার অন্য দুইজন হলেন ওই এলাকার শুকুর আলীর ছেলে সেলিম মিয়া (২২) ও নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানার লক্ষ্মীবরদী গ্রামের সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে মো. জুয়েল (২৮)।
তাদের জিজ্ঞাসাবাদের তথ্য দিয়ে তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, “জনির সঙ্গে টুকটুকির পরিচয় ছিল। সেই সূত্র ধরে গত ২৫ ডিসেম্বর তাকে ফোন করে জামসিং মহল্লায় ডেকে নেন জনি।
“পরে জনি ও তার অন্য দুই বন্ধু মিলে তাকে ধর্ষণ করেন। ধর্ষণের ঘটনা চাপা দেওয়ার জন্য তারা তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। হত্যার পর তারা লাশ জনির ওয়ার্ডরোবে রেখে দেন। পরদিন রাতে লাশ হাত-মুখ বাঁধা অবস্থায় কাঁথা দিয়ে মুড়িয়ে প্লাস্টিকের বস্তায় ভরে জামসিং এলাকায় ফেলে রাখেন।”
গ্রেপ্তারকৃতদের রোববার দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মলয় কুমার সাহা।