রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) নির্বাচনের হাওয়া লেগেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসেও। ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন স্থানে দলীয় পোস্টার-ব্যানারের ছড়াছড়ি। একাডেমিক ভবন থেকে শুরু করে বিভিন্ন দফতরেও পোস্টার লাগানো হয়েছে। এ নিয়ে আপত্তিও রয়েছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মাঝে। মেয়র প্রার্থীদের মধ্যে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন ছাড়া অন্য কোনও প্রার্থীর পোস্টার-ব্যানার চোখে পড়েনি। তার পোস্টার-ব্যানারের পাশাপাশি দুজন কাউন্সিলর প্রার্থীর পোস্টার-ব্যানার দেখা গেছে।

ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন গেইট, প্রশাসন ভবন, সিনেট ভবন, টুকিটাকি চত্বর, মিডিয়া চত্বর, রবীন্দ্র কলা ভবন, ইসমাঈল হোসেন সিরাজী ভবন, মমতাজ উদ্দিন কলা ভবন, কাজলা, প্রথম ও দ্বিতীয় বিজ্ঞান ভবন সংলগ্ন এলাকা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় লিটনের পোস্টার লাগানো হয়েছে। উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ কার্যালয়েও মেয়র প্রার্থী লিটনের পোস্টার দেখা গেছে।  অন্যদিকে, কাউন্সিলর পদপ্রার্থী মো. আলাউদ্দীন ও শহীদুল ইসলাম পিন্টুর পোস্টার ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে চেখে পড়েছে।

২০১০ সালে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন  ক্লাস-পরীক্ষা চলাকালে ক্যাম্পাসে সব ধরনের মিছিল, মিটিং, সমাবেশ ও মাইকিং নিষিদ্ধ করলেও নিয়মটির ব্যত্যয় ঘটতে দেখা গেছে। ক্লাস পরীক্ষা- চলাকালেও নির্বাচনী প্রচারণা চালানো হয়েছে। এ নিয়ে অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের ভাষ্য, ‘বিশ্ববিদ্যালয় একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান। এটা কোন নির্বাচনী মাঠ নয়। তবুও আমরা এখানে নিয়মিত সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা চালাতে দেখতে পাচ্ছি। ক্যাম্পাসের ভেতরে যখন মাইকিং করে ভোট চাওয়া হয় তখন আমাদের ক্লাস-পরীক্ষার অনেক সমস্যা হয়।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান বলেন, ‘যেসব পোস্টার লাগানো হয়েছে সেগুলো এখন নামিয়ে ফেললে খারাপ দেখাবে। তাই নতুন করে পোস্টার লাগানো ও মাইকিং করার বিষয়ে আমি ছাত্রলীগকে নিষেধ করেছি।’



Contact
reader@banginews.com

Bangi News app আপনাকে দিবে এক অভাবনীয় অভিজ্ঞতা যা আপনি কাগজের সংবাদপত্রে পাবেন না। আপনি শুধু খবর পড়বেন তাই নয়, আপনি পঞ্চ ইন্দ্রিয় দিয়ে উপভোগও করবেন। বিশ্বাস না হলে আজই ডাউনলোড করুন। এটি সম্পূর্ণ ফ্রি।

Follow @banginews