গরিব মানুষের পক্ষে সত্যিই এ রকম বিলাসিতা করার সুযোগ আছে কি না, এটা চিন্তাভাবনা করে দেখার বিষয়। সংবাদটি বাংলাদেশে ফলাও করে প্রচার করা হয়েছে এবং এ বিষয়ে সম্পাদকীয়ও লেখা হয়েছে।
খাবার অপচয় কেবল সম্পদেরই অপচয় নয়, এর সঙ্গে পরিবেশ ও স্বাস্থ্য জড়িত। অপচয়কৃত খাবার এবং সৃষ্ট বর্জ্য পরিবেশের দারুণ ক্ষতি করছে। ইউএনইপির এই প্রতিবেদন অনুযায়ী, খাদ্যের অপচয় থেকে বিশ্বব্যাপী ৮ থেকে ১০ ভাগ ‘গ্রিনহাউস’ গ্যাস নির্গমন হয়। এর মানে হচ্ছে বাংলাদেশের মানুষ খাদ্য অপচয়ের মাধ্যমে বিশ্বের অন্যান্য দেশের চেয়ে বেশি গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন ও পরিবেশদূষণ করছে।
এর ফলে বাংলাদেশিদের জন্য নতুন করে দুটি ‘অপবাদ’ যোগ হলো। ‘খাবার অপচয়কারী’ এবং ‘পরিবেশদূষণকারী’। এই ‘অপবাদ’ দুটি মেনে নেওয়ার আগে যাচাই-বাছাই করে দেখার প্রয়োজন, ইউএনইপির তথ্য কতটুকু সত্য, কীভাবে এই তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে, কীভাবে খাদ্য অপচয় পরিমাপ করা হয়েছে।